Date : 2024-04-25

সরাতে হবে মণ্ডপ, তবে বন্ধ হচ্ছে না মহম্মদ আলী পার্কের পুজো

সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিকঃ মহম্মদ আলি পার্কের পুজো নিয়ে এখনো রয়েছে অনিশ্চয়তা। বলা যেতে পারে, আপাতত সমাধান সূত্র বেরোল না মহম্মদ আলী পার্কের পুজোর। মঙ্গলবার জল সরবরাহ বিভাগের ডেপুটি ইঞ্জিনিয়ার অমিতাভ পালের নেতৃত্বে কলকাতা পৌর সংস্থার আধিকারিকদের একটি দল মহম্মদ আলি পার্ক পরিদর্শন করেন। যদিও স্বস্তির খবর এটাই যে পুজো বন্ধ হচ্ছে না।

পুরসভার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে পার্কের ভেতর থেকে মণ্ডপ সরিয়ে তা আনতে হবে বাইরের খোলা জায়গায়। পুরোনো মন্ডপ যার মাপ প্রায় ৫০ ফুট ছিল। সেটা আরও এগিয়ে নিয়ে এসে রাস্তার সামনে একেবারে লোহার গ্রিলের সামনে নিয়ে আসার প্রস্তাব দিয়েছে কলকাতা পৌর সংস্থা। স্বল্প জায়গার মধ্যে এই মহম্মদ আলি পার্কের পুজো মন্ডপ সীমিত রাখার বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে কলকাতা পৌর সংস্থা কর্তৃপক্ষ।

মহম্মদ আলি পার্কে যেখানে এত দিন ধরে পুজো হয়ে এসেছে, তার নিচেই রয়েছে ভূ-গর্ভস্থ জলাধার। গত শনিবার কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের ডিজির তরফে পুজো কমিটিকে নোটিস দিয়ে প্যান্ডেল নির্মাণ স্থগিত রাখতে বলা হয়। নোটিসে জানানো হয়েছে যে, মহম্মদ আলি পার্কে যে জলাধারটি রয়েছে, সেটি অনেক পুরনো। তার উপর মণ্ডপ তৈরি হলে অতিরিক্ত চাপ ধারণ করতে পারবে না।

যেখানে প্যান্ডেল হচ্ছে, তার নীচে রয়েছে পুরসভার জলের রিজার্ভার। রিজার্ভারের কাঠামো দুর্বল। তার ওপর পুজোর মণ্ডপ থাকবে। সেখানে দর্শকদের ভিড় হলে ভেঙে পড়তে পারে গোটা কাঠামো। সেক্ষেত্রে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। পাশাপাশি ওই রিজার্ভারের কোনও ক্ষতি হলে মধ্য কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে জল সরবরাহ বিপর্যস্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষ।

তাই পুজোকে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে পুরসভার তরফে। তবে প্রশ্ন উঠছে যে , বিকল্প জায়গাতে পুজোর ফলে এই পুজোর গরিমা নষ্ট হতে পারে বা যে উৎসাহ এবং উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে লাখো লাখো মানুষের ভিড়ের উচ্ছাস নেমে আসে এই পুজো মণ্ডপে সেটা যদি এই ছোট জায়গায় হয়ে যায় তাহলে সেই ভিড় সামাল দেওয়ার মত ক্ষমতা থাকবে তো পুজো উদ্যোক্তাদের? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।