Date : 2024-04-20

হাই কোর্টের ভৎসনা সিটকে।কেন ভিসেরা জন্য কেন পাঠানো হয়নি, মামলার কেস ডায়েরি তলব ডিভিশন বেঞ্চের।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : পাকস্থলীতে মদ পাওয়া গিয়েছিল ? প্রশ্ন বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চের।

সিটের জমা দেওয়া রিপোর্টে তীব্র বিরোধিতা করেন কৌশিকের পরিবারের আইনজীবীরা। তবে স্পেশাল ইনভেস্টিকেশন টিমের রিপোর্টে ভিত্তিতে বেশ কিছুটা সময় দেওয়া হয়েছে।সেই সময়ের মধ্যে সিটের রিপোর্টে কোথায় গলদ রয়েছে তা চিহ্নিত করে আদালতে তা তুলে ধরার নির্দেশ।তাঁর পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্ট।

মামলার বয়ান অনুযায়ী মামলাকারির আইনজীবী অচ্যুৎ বসু এবং সোনাম বসু জানিয়েছেন নদীয়া জেলার নবদ্বীপের বাসিন্দা শ্যামলী কর্মকার ও কানাইলাল কর্মকারের একমাত্র ছেলে কৌশিক কর্মকার। ২০১৫ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারিতে বর্ধমান জেলার নাদনঘাট থানার অন্তর্গত হেমাতুপারে মা লক্ষী অটো মোবাইল সেন্টারে একটি গাড়ি সারাতে দেওয়া হয়েছিল। গাড়িটি সেদিন হস্তান্তর করার কথা ছিল। সন্ধ্যা ৬,৪৫ নাগাদ একটি ফোন আসে কৌশিকের মোবাইলে।সে জানায় ফেরার সময় গাড়িটা নিয়ে আসবে।

বাড়ি ফেরার সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর বার বার মৌশিকের ফোন ফোন করেন তাঁর বাবা।বার দুয়েক কথা হয়।কৌশিক জানায় গাড়ি সরানো এখনও হয়নি তখন রাত ১১টা বেজে গেছে।শেষ বার কৌশিক জানিয়েছিল গাড়ি সরানো হয়ে গেছে সে বাড়ি ফিরবে।কিন্তু রাত হয়ে যাওয়া কৌশিকের বাবা ফোন করলে ফোনের ওপাশ থেকে জানায় কৌশিকের দুর্ঘটনা ঘটেছে। নবদ্বীপ থানার পুলিশ জানায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।কৌশিক হাসপাতালে মারা যায়।তাঁর দেহ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দিতেই শরীরের আঘাতের চিহ্ন দেখে পরিবারের সন্দেহ হয়।দুর্ঘটনায় নয় কৌশিক কে খুন করা হয়েছে।

কৌশিকের মৃত্যু রহস্য কিনারা চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সন্তান হারা মা।বিচারপতি সঞ্জিব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি কৌশিক চন্দ্রের ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৫ সালে ১০ই ফেব্রুয়ারিতে সিট গঠনের নির্দেশ দেন।সিটের প্রধান প্রণব কুমার আইপিএস,ইন্দ্র চক্রবর্তীএবং অতীশ চ্যাটার্জি নেতৃত্ব সিট তদন্ত শুরু করেন।

সিটের তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা পড়ার পর দেখা যায় কৌশিকে খুন করা হয়নি।সে গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
যদিও কৌশিকের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ কৌশিকের স্ত্রীর আগের পক্ষের যিনি স্বামী অর্ণব ভট্টাচার্য যিনি নবদ্বীপের ই বাসিন্দা।মাঝে মধ্যে রাস্তায় কৌশিককে একা পেয়ে হুমকি দিতেন বলেও অভিযোগ।

আগামী ৭ই সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।