Date : 2024-04-18

কলকাতা অনাত আশ্রম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের রাখি পূর্ণিমার প্রস্তুতি

নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক:- জীবন এদের শিখিয়েছে লড়াই করার ক্ষমতা। পৃথিবীর আলো দেখার পরেই এরা সম্মুখীন হয়েছে কঠিন বাস্তবের। দু’পা চলত শিখেই হারিয়েছে প্রিয়জনের হাত। তবুও থেমে যায়নি এদের জীবন। কলকাতা অনাথ আশ্রম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০জন পড়ুয়া একে অপরের সঙ্গী, প্রিয় বন্ধু ও পরম আত্মীয়। ঠিকানা কলকাতা অনাথ আশ্রম।আর এরা পঠন-পাঠন করে কলকাতা অনাথ আশ্রম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

১২৭ বছরের পুরনো কলকাতা অনাত আশ্রম প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়, ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ৫০। প্রতিবছরের মতো এবারও রাখীবন্ধন উৎসবে মেতে উঠবে এরাও। মৈত্রী বন্ধনে পরকে আপন করাই এদের কাজ। অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে রাখি পূর্ণিমা। তার আগে নিজেদের হাতেই তৈরি করছে রাখি এখানকার খুদেরা। ২০০৬ সাল থেকে এরা রাখি উৎসব পালন করে আসে। নিজেদের হাতের তৈরি রাখি শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে পথ চলতি মানুষের হাতে বেঁধে দেয় তারা। আর তাদের দিয়ে শপথ করায় ” ভারত বর্ষ আমার দেশ। আমি একজন ভারতীয়। আমি সবার সাথে মিলেমিশে থাকব। ” স্কুলে এসে প্রতিদিন তারা এই বাক্যটি শপথ করে আর রাখি পূর্ণিমার দিন সেই বাক্য বলিয়ে শপথ করায় আপামর জনসাধারণকে ভারতবাসীকে।

বাগবাজারের কলকাতা অনাথ আশ্রম এদের ঠিকানা। সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে কলকাতা অনাথ আশ্রম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরু হয় পঠনপাঠন । ছুটির আগে চলে রাখি পূর্ণিমার প্রস্তুতি। গত দুবছর করোনার জন্য রাখি উৎসবে এই খুদেরা। তাই এবার কোনও খামতি রাখতে চাই না তারা। পুঁতি, কাগজ ও সুতোর সাহায্যে চলে রাখি তৈরীর কাজ। প্রায় তিন হাজারের বেশি রাখি তৈরী করে এরা। এবারও সেই লক্ষ্যেই নজর এদের।স্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল মুখোপাধ্যায় বলেন, এক রাখি ব্যবসায়ী রাখি তৈরীর সব জিনিসপত্র বিনামূল্যে ছাত্রছাত্রীদের দেয়। যেগুলি দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা খুব আনন্দের সঙ্গে নিজেরাই রাখি তৈরী করে এই উৎসবে সামিল হয়।”