শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক:- হাতেগোনা আর মাত্র কয়েকটা সপ্তাহ। দরজায় কড়া নাড়ছে বাঙালির প্রাণের উত্সব। কুমোরটুলিতে দেখা গেল ব্যস্ততার চেনা ছবি। কোথাও রঙের প্রলেপ পড়েছে, কোথাও আবার প্রতিমার গায়ে মাটি। প্রতিমা তৈরীর আঁতুড়ঘর কুমোরটুলির শিল্পীদের ব্যস্ততা তুলে ধরল আরপ্লাস নিউজ।
১০..৯…৮…৭ (কাউন্টডাউনের ছবি)- শুরু হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন। ২০২০ এবং ২০২১ সালে করোনার জন্য পুজো হলেও জাঁকজমক সেভাবে হয়নি। গত দুই বছর মানুষ ঠাকুর দেখলেও মনের মধ্যে সংক্রমিত হওয়ার ভয় ছিলই। এবারে ভয়ের মতো পরিস্থিতি অতটা নেই। তবে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন চিকিত্সকরা।য দুবছরের বাধা কাটিয়ে লাভের মুখ দেখার আশায় কুমোরটুলির মৃত্শিল্পীরা। কুমোরটুলিতে দেখা গেল ব্যস্তাতার সেই চেনা ছবিটা। ঘরে ঘরে চলছে দুর্গা প্রতিমা তৈরির শেষলগ্নের কাজ। হাতে যে আর বেশি সময় নেই, কাজ শেষ করতে হবে। তবে বেশকিছু বারোয়ারি পুজোকমিটি দেরিতে বায়না করায় ফের খড় বাঁধার কাজ শুরু করতে হয়েছে। ঠাকুরের গায়ে মাটির প্রলেপও পড়েছে অনেক ঘরে। কিন্তু, কারিগরের অভাব কমবেশি সব জায়গাতেই। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির আঁচ এসে পড়েছে প্রতিমা তৈরির সামগ্রীতেও।
আগের বছরের তুলনায় দাম বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। তা সে ছোট দুর্গাই হোক বা বড় দুর্গা। এদিকে কলকাতার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। বিশ্বের মঞ্চে সেরার স্বীকৃতি পাওয়ায় অর্ডারের সংখ্যাও কিছুটা বেড়েছে বলেই জানান সমীর পাল, শ্যামল পাল নামে মৃতশিল্পীরা। করোনার বাধা কাটিয়ে বিদেশে পাড়ি দিতে শুরু করেছে কুমোরটুলিতে তৈরি হওয়া বহু প্রতিমা। সেই সংখ্যাটা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে বলেই জানান শিল্পীরা। কলকাতার পাশাপাশি জেলা থেকেও এবার অর্ডার এসেছে। করোনাকালে যা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিল। সব মিলিয়ে এবছরের পুজো জমজমাট হবে বলেই আশাবাদী পুজো উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে মৃত্শিল্পীরা।