Date : 2024-04-25

অনন্য – কুমোরটুলির ঝুলন পাল। অচল হয়ে যাওয়া ১০ পয়সায় প্রতিমা।

শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক:- কুমোরটুলিতে মাটি ভাঙা-গড়ার খেলায় তৈরি হচ্ছে হাজারো দেব-দেবী। স্বর্গের দেব-দেবীদের মর্ত্যে তৈরি দায়িত্ব কুমোরটুলির মৃত্শিল্পীদের। তাদের হাতের ছোঁয়ায় পূর্ণ অবয়ব পাচ্ছেন দেব-দেবীরা। কুমোরটুলির এমনই এক মৃত্শিল্পী রয়েছেন যিনি প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম ভাস্কর্যও তৈরি করেন। যার জন্য ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম উঠেছে তাঁর।


কলকাতার কুমোরটুলি। দেব-দেবীর বিগ্রহ তৈরির পীঠস্থান- কুমোরটুলি। মৃত্শিল্পীদের কর্মশালা। এখানে বিভিন্ন উত্সবের সময় মাটির মূর্তিই তৈরি হয়না – দেশের চাহিদা মিটিয়ে নিয়মিত হয় রপ্তানিও। কুমোরটুলিতে তেমনই এক শিল্পীর সন্ধান পাওয়া গেল। মৃত্শিল্পী ঝুলন পাল ওরফে অমিত পাল। নদিয়া জেলার শান্তিপুরের বাসিন্দা ঝুলনবাবু। কাজের তাগিদে কুমোরটুলিতে আসা। তারপর এখানেই থেকে যাওয়া। মূলতঃ দূর্গাপ্রতিমা তৈরি করেন তিনি।

তবে প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি তাঁর একটি সখ হল ক্ষুদ্রতম ভাস্কর্য তৈরি করা। অচল হয়ে যাওয়া ১০ পয়সা কয়েনের উপর তৈরি করেছেন ক্ষুদ্রতম কালি ঠাকুর। রঙ-তুলির ছোঁয়ায় ঝুলনবাবুর তৈরি মা কালির ছবি ফুটে উঠেছে পুঙ্খানুপুঙ্খ। যার উচ্চতা হাফ ইঞ্চিরও কম। মিনিয়েচর কালি ঠাকুর আঁকার জন্য ২০২২ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ নাম উঠেছে ঝুলন পালের। কুমোরটুলির নাম উজ্জ্বল করতে পেরে খুশি ঝুলনবাবু। ২০০৩ সালে তৈরি করেছিলেন এই মিনিয়েচর কালি প্রতিমা। দীর্ঘ সময় কেটে যাওয়ার পর ২০২২- এ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ নাম উঠেছে ঝুলনবাবুর। শুধু এখানেই থেমে থাকেননি ঝুলনবাবু। এর আগে ৫০ পয়সার উপরেও সপরিবার দূর্গাপ্রতিমা তৈরি করেছেন তিনি। এমনকি সর্ষে ও পোস্ত দানার উপরেও নাম লিখে দেওয়ার কলাকৌশলে পারদর্শী ঝুলনবাবু। লন্ডন, আন্দামান, নাগাল্যান্ড সহ বিভিন্ন বিদেশের মাটিতে পা রেখেছে শিল্পী ঝুলন পালের দুর্গাপ্রতিমা। এবছর দূর্গাপ্রতিমার বায়না এসেছে প্রচুর। তাই এখন ভীষণ ব্যস্ত ঝুলনবাবু। সহস্র কাজের মধ্যে থেকেও তুলির টানে নতুন কিছু ফুটিয়ে তোলার ভাবনা অবিরাম। আবার এক নতুন কিছুর অপেক্ষায় আমরা।