Date : 2024-04-23

চাইল্ড কেয়ার লিভের অনুমোদন দিতে গড়িমসি!আদালতকে বোকা বানানোর চেষ্টা, প্রধান শিক্ষিকার বেতন বন্ধের পাশাপাশি বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : চাইল্ড কেয়ার লিভ এর অনুমোদন দিতে গড়িমসি। আদালতকে বোকা বানানোর চেষ্টা। এমনই অভিযোগে এবার জোকা ব্রতচারী বিদ্যাশ্রম গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবণী ব্যানার্জীর বেতন বন্ধের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ঘটনা হল ছেলের পরীক্ষার জন্য ২০১৫-১৬ এবং ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে চাইল্ড কেয়ার লিভ নিয়েছিলেন তৎকালীন ওই স্কুলের শিক্ষিকা উমা আচার্য। ছুটি অনুমোদন হয় যায়। তিনি ছুটিও পান। এরপর তিনি মহেশতলা গোপালপুর শিক্ষা নিকেতন হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন। গন্ডগোলের সূত্রপাত এরপরই ওই চাইল্ড কেয়ার লিভ এর অনুমোদন সংক্রান্ত কাগজপত্র ও সার্ভিস বুক দিতে অস্বীকার করেন ব্রতচারী বিদ্যাশ্রম গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবণী ব্যানার্জী। উপায় না দেখে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন উমা আচার্য। দীর্ঘ সময় মামলার শুনানির পর বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য দেবনগর হাই স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষককে (রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত)।

বিশেষ অফিসার নিয়োগ করে বিষয়টি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ মত বিশেষ অফিসারের সামনে বিষয়টি অপসে মিটিয়ে নিতে সম্মত হন শ্রাবণী ব্যানার্জী। সব কিছু মিটেও যায়। কিন্তু বিশেষ অফিসারের সামনে এই সংক্রান্ত যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল তাতে সই করেননি শ্রাবণী ব্যানার্জী। শুধু তাই নয়। মঙ্গলবার মামলার শুনানির দিন আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান শ্রাবণী ব্যানার্জী। এতেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শ্রাবণী ব্যানার্জীর আইনজীবীকে তীব্র ভৎসনার পাশাপাশি প্রধান শিক্ষিকার বেতন বন্ধের পাশাপাশি আদালতের সঙ্গে ছলনা করার জন্য স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এছাড়াও পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত শ্রাবণী ব্যানার্জী প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে ওই স্কুলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন না বলেও নির্দেশে জানিয়েছেন বিচারপতি। আগামী ৯ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।