Date : 2024-04-26

উত্তর কলকাতায় বহু পুরনো ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকানে ভাইফোঁটার মিষ্টি কেনার ভিড়।

শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক : উত্তর কলকাতায় বহু পুরনো ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকান আছে যেগুলো প্রসিদ্ধ। তার মধ্যে একটি হলো গিরিশ চন্দ্র দে এবং নকুর চন্দ্র নন্দী। ১৮৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই দোকান আজও বিখ্যাত। শুধু নামে নয় মিষ্টির গুণেও নামকরা এই নকুরের মিষ্টি। একনামে যাকে চেনা যায়।

রমদুলাল সরকার স্ট্রিট এ লম্বা লাইন। এই লাইন মিষ্টি কেনার লাইন। বৃহস্পতিবার ভাইফোঁটা। তাই মিষ্টি কেনার ভিড় দেখা গেল নকুরে। ছানার মিষ্টি থেকে কড়া পাকের মিষ্টি যেমন আছে তেমনি সুগার ফ্রি থেকে ছোটদের চকলেট মিষ্টিও আছে। মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে সকলের সামর্থের মধ্যেই দাম রাখা হয়েছে বলে জানান কর্ধার প্রজেশ নন্দী। ভাইফোঁটার জন্যে অনলাইনেও বেশ অর্ডার আসছে বলে জানান তিনি। আবার অন্যদিকে মধ্য কলকাতার আরেকটি নামকরা মিষ্টির দোকান হলো নবকৃষ্ণ গুই। ১৮০ বছর পুরোনো এই মিষ্টির দোকান।

ঠাকুরদার সময়কার দোকান। ভাইফোঁটার জন্যে মিষ্টির দোকানে মিষ্টি কেনার হিড়িক চোখে পড়ার মত। ভাইফোঁটা লেখা মিষ্টি যেমন আছে, আবার খাবো, চমচম, ঘিয়ে ভাজা খাজা, গোলাপ ফুল মিষ্টি, ভিক্টোরিয়া, রসমালাই, গজা। হরেকরকম রসের মিষ্টি ও ছানার মিষ্টিতে বাজিমাত করছেন এই মিষ্টির দোকান। মিষ্টি রেখে যাতে খাওয়া যায় সেদিকে নজর দেওয়া হয়েছে। কোন মিষ্টি কতদিন রেখে খেতে পারবেন সেটাও জানালেন এই মিষ্টির দোকানের বর্তমান মালিক সুপ্রভাত দে।

পাশাপাশি কি কি নতুনত্ব মিষ্টি করেছেন সেটাও জানালেন। দাম যেমনি হোক না কেন মিষ্টির গুণগত মান আগের মতই আছে তাই তো বারে বারে এখানে আসা এমনটাই জানাচ্ছেন ক্রেতারা। কথায় আছে – বাঙালির শেষ পাতে মিষ্টি মুখ নাহলে খাওয়া ঠিক জমে না। যেকোনো উৎসব পার্বণে মিষ্টি চাই চায়। ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে ভাইদের মিষ্টি মুখ করাতে ভাই বোন সবার লাইন দেখা গেল মিষ্টির দোকানে ।