Date : 2024-04-24

পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে ছট পুজোয় কৃত্রিম জলাশয়।

শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক: সর্বধর্ম মানুষের বিচরণ এই ভারতবর্ষে। তাই ঈদ, দুর্গা পুজো, কালীপুজো, দিওয়ালী, ছোট পুজো সহ বিভিন্ন উৎসব পালন করতে দেখা যায় এখানে। একে অপরের উৎসবে সামিল হন সকলে। ছট হল একটি প্রাচীন হিন্দু উৎসব যা ঐতিহাসিকভাবে ভারতীয় উপমহাদেশে বিশেষভাবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য যেমন বিহার , উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ,ঝাড়খণ্ড এ পালন করা হয়। ছট পুজোর প্রার্থনা সৌর দেবতা অর্থাৎ সূর্যকে উৎসর্গ করা হয়। সূর্যাস্ত হওয়ার পরে এবং সূর্য উদয়ের আগে পর্যন্ত এই পুজো হয়। দেবী প্রকৃতির ষষ্ঠ রূপ ছঠি মাইয়া এবং ভগবান সূর্যের বোনকে উৎসবের দেবী হিসেবে পুজো করা হয়। ছট পূজার আচার-অনুষ্ঠানের কারণে দূষিত হচ্ছে গঙ্গার জল। গঙ্গা বক্ষ ছাড়াও রবীন্দ্র সরোবরেও ছট পুজো পালন করা হতো।

রবীন্দ্র সরোবর সহ বিভিন্ন সরোবর এ ছট পুজো পালন করায় আপত্তি পরিবেশবিদদের। বিগত কিছু বছর ধরে রবীন্দ্র সরোবরের জলাশয়ের তীরে পুজো করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। বিজ্ঞানীরা ব্যাখ্যা করেছেন যে আতশবাজির শব্দ, বাজনা, ছট পুজো উপলক্ষে জলে তেল ও ঘি ঢালা এবং ফুল নিক্ষেপের ফলে পাখি সহ জলজ প্রাণী এবং রবীন্দ্র সরোবরে বসবাসকারী অন্যান্য প্রজাতিদের ওপর প্রভাব পড়ছে। দূষণের কারণে জলজ প্রাণীর মৃত্যুও পর্যন্ত হচ্ছে। তাই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ছট পুজো ধর্মাবলম্বী মানুষদের বসবাসকারী ওয়ার্ডগুলিতে কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করা হচ্ছে। এই উদ্যোগ আগের বছরও নেওয়া হয়েছিল।

অনেকেই বাবুঘাট সহ আরও যেসব ঘাট আছে সেখানে যেতে পারেন না। যাতে ছট পুজো পালনকারীদের কোনো অসুবিধা না হয় এবং অন্যদিকে জলাশয়কে দূষণ থেকে মুক্ত করতে এই উদ্যোগ বলে জানালেন ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা সাধন সাহা। তিনি আরও জানান যে ছট পুজো হয়ে গেলে এই কৃত্রিম জলাশয় ভেঙে ফেলা হবে। জানবাজার সহ বিভিন্ন বাজারে ছট পুজোর সামগ্রীর বিক্রি হচ্ছে। কলার কাঁদি থেকে আখ, ফল সহ পুজোর জিনিসের বিকিকিনিতে ভিড় চোখে পড়ার মতো।