Date : 2024-03-29

পুলিশ,রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, পেশো এবং নীড়ির ছাড়পত্রে জমে উঠেছে সবুজ বাজি বাজার টালাপার্ক সার্কাস ময়দানে

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : কেন্দ্র রাজ্যের সংঘাত বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে কখনো রাজনৈতিক ইস্যুতে আবার কখনো বা রাজ্যের বকেয়া না মেটানোর ইস্যুতে বারবার সংঘাতের পথে হেঁটেছে রাজ্য কেন্দ্রে।

পরিবেশ নিয়ে সকলেই কম বেশি সচেতন। রাজ্য সরকার ,কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা খরচ শুধু মাত্র মানুষকে সচেতনতা করার জন্য। পরিবেশ যাতে কোনভাবেই দূষিত না হয় তাই কেন্দ্র রাজ্য একাধিক পদক্ষেপ ও ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছেন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক শুক্রবার টালা পার্ক সার্কাস ময়দানে বাজিবাজারে প্রতিটা দোকানেই তারা পরিদর্শন করেছেন এবং দোকানে যে ধরনের বাজি বিক্রি হচ্ছে সেই বাজির গায়ে কিউআর কোড আছে কিনা সেটা তারা খতিয়ে দেখছেন এবং সেই কিউ আর কোড ধরে তারা দেখছেন বাজিগুলো আদৌ পরিবেশবান্ধব এবং স্বাস্থ্যসম্মত কি না।

রাজ্য দূষণ পর্ষদ কলকাতা পুলিশ পেশো এবং নীড় আধিকারিকদের নিয়ে ৪৪ টি দোকানেই তারা বাজির গুণগতমান পরিবেশবান্ধব কিনা স্বাস্থ্যসম্মত কিনা সমস্ত বাজির গায়ে কিউআর কোড লাগানো আছে কিনা তা সমস্তটাই খতিয়ে দেখেন।বাজি বাজারের দুটি স্টলে নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি করা জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বাজি শিল্প উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক তথা টালাপার্ক সার্কস ময়দানের বাজি বাজার উদ্যোক্তা শুভঙ্কর মান্না।

শারদীয়া উৎসব মিটতেই কালী পূজার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে পুজো উদ্যোক্তারা। কালী পূজা মানেই আতশবাজি।আতশবাজি ছাড়া যেন কালি পুজো ভাবাই যায় না।তবে শব্দ দানব দাপটে নাজেহাল হয়ে পড়েন মানুষ থেকে পশু পাখি সকলে। বছরের পর বছর ধরে শব্দবাজি তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল মানুষ ।যে কারণে দীপাবলি বা কালী পূজার দিন আতশবাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধি নিষেধ জারি করেছে পরিবেশ আদালত।

যে সমস্ত বাজি থেকে পরিবেশ দূষণ হতে পারে সেই ধরনের বাজি একেবারেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি দেশের শীর্ষ আদালত থেকে কলকাতা হাইকোর্ট একের পর এক নির্দেশিকা জারি করেছে, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বাজি বিক্রেতা এবং ক্রেতা সকলের মধ্যেই সচেতনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন সম্প্রতি একটি নির্দেশ জারি করেছেন বাজি পোড়ানোরএবং বিক্রির ক্ষেত্রে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের দুই সংস্থা নিরি এবং পেশো তারাই মূলত বাজি বাজার গুলো পরিদর্শন করবেন এবং পরিবেশ আদালতের যে গাইডলাইন সেই গাইডলাইন অনুযায়ী বাজি তৈরি এবং বিক্রি হচ্ছে কিনা তা তারা খতিয়ে দেখে হাইকোর্টে রিপোর্ট দেবেন। রিপোর্ট দেবেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার ।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ পাবার পরে পরেই ময়দানে নেমে পড়েছেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ কলকাতা পুলিশ নিরী এবং পেশো। টালা পার্ক সার্কাস ময়দান বেহালা ইএম বাইপাস যে সমস্ত জায়গায় বাজি বাজার বসেছে সমস্ত জায়গাগুলোই আধিকারিকরা খতিয়ে দেখবেন।
তবে বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালতের বেধে দেওয়ার সময় রাত আটটা থেকে দশটা পর্যন্তই বাজি পোড়াতে হবে।