Date : 2024-04-19

ভাইফোঁটার দিন ফের দিদির বাড়ি শোভন-মুকুল।

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : বছর কয়েকের ব্যবধান মুছে ফের একবার কালীঘাটে দিদির বাড়ির ভাঁইফোটায় হাজির মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়। ফিরহাদ হাকিম, অরুপ বিশ্বাস বা সুব্রত বক্সিরাও অবশ্য ছিলেন কালিঘাটে।

ভাইফোঁটার সঙ্গে রাজনীতির তেমন কোনো যোগ নেই। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরের খবর যারা রাখেন তারা জানেন যোগ আছে, আলবৎ আছে। এইদিন কারা কারা কালীঘাটে দিদির বাড়িতে এলেন আর কারাই বা এলেন না অথবা কারা ডাক পেলেন, কারাই বা ডাক পেলেন না, তার উপর তৃণমূলের অভ্যন্তরীন রাজনীতির সমীকরণ অনেকটাই স্পষ্ট হয়। দলনেত্রীর কাছ থেকে ভাইফোঁটা নেওয়ার তালিকায় এবারেও অন্যান্য বারের মতো ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, অরুপ বিশ্বাস, সুব্রত বক্সি। অন্যান্যবার এইদিন অবশ্যই আসতেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মারা যাওয়ার ফলে তিনি নেই এবার। আরো একজন নিয়োগ দূর্ণীতিতে আপাতত জেলে। তবে এবার অবশ্য উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি ছিলো দুইজনের। দুইজনেই একটা সময় দল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। একজন রাজনীতিগতভাবে ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন, আরেকজন বিজেপির সঙ্গে সব সংশ্রব ত্যাগ করে সক্রিয়ভাবে তৃণমূলে যোগদানের অপেক্ষায়। প্রথমজন মুকুল রায়, দ্বিতীয়জন শোভন চট্টোপাধ্যায়। শোভন চট্টোপাধ্যায় অবশ্য গতবছরেও কালীঘাটে এসে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ফোঁটা নিয়েছিলেন। সেই অর্থে মুকুল রায় কয়েকবছর পর আবার এইদিনে কালীঘাটে এলেন। মুকুল রায় সাংবাদিকদের কিছু না জানালেও শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান, “আমি বরাবরই এইদিন দিদির কাছে আসি। দিদির আশীর্বাদ গ্রহণ করি। আর আমি সক্রিয় রাজনীতিতেই ছিলাম, আছি।” তিনি আরও বলেন, “টস হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু দিদির আদেশ নিয়ে মাঠে নেমে পড়ার অপেক্ষা।” শোভন চট্টোপাধ্যায় বা মুকুল রায় কবে কখন সক্রিয়ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে মাঠে নামবেন তার জন্য হয়তো কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে, তবে একথা নিশ্চিত করেই বলা যায় সেটা হবে আগামি পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই।