Date : 2024-03-19

কাউন্টডাউন শুরু। অপেক্ষা এক রাতের। তারপর ফুটবল ওয়ার্ল্ড কাপ ফিভার তুঙ্গে। তারই ছোঁয়া দেখা গেলো ময়দান মার্কেটের জার্সি ও ফ্ল্যাগের দোকানে।

শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক: আর কিছুক্ষণ। তারপরেই রাত জাগা। প্রিয় দল ও দলের খেলোয়াড় নিয়ে টমুল খেলা তর্ক- বিতর্ক বন্ধু ও অফিস কর্মীদের সঙ্গে। ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় চায়ের টেবিলে তুফানি। সেই উত্তাপের আঁচ দেখা গেল ময়দান মার্কেটে। দেদার বিক্রি হচ্ছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, পর্তুগালের জার্সি ও ফ্ল্যাগ। দলে দলে ফুটবল প্রেমীদের ঝুন্ড ভিড় করছে ধর্মতলার ময়দান মার্কেটে। শহর এর ফুটবল সমর্থকরা যেমন ভিড় করছে খেলার সামগ্রীর একমাত্র প্রসিদ্ধ মার্কেট ময়দান মার্কেটে, তেমনি জেলার ফুটবল প্রেমীরাও আসছে প্রিয় দেশ ও খেলোয়াড়দের জার্সি ও পতাকা কিনতে।

এমনি কিছু বিশ্বকাপ ফুটবল fever ভুগছে ফুটবল প্রেমীরা ছুটে এসেছে চন্দননগর থেকে প্রিয় খেলোয়াড়দের জার্সি কিনতে। জার্সি ও ফ্ল্যাগ বিক্রি হওয়া নিয়ে বিক্রেতারাও বেশ খুশি। সাধ্যের মধ্যে দাম। খেলা শুরু হলে আরও বিক্রি বাড়বে বলে জানাচ্ছেন আশফাক আহমেদ, প্রদীপ দাস নামক ময়দান মার্কেটের বিক্রেতারা। তবে এই মুহূর্তে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা,পর্তুগালের জার্সি ও ফ্ল্যাগ বিক্রি হচ্ছে বেশি বলে জানান বিক্রেতারা। বিশ্বকাপে অংশ গ্রহণকারী দেশের ফ্ল্যাগ ও জার্সি দিয়ে দোকানও সাজিয়ে রেখেছেন। চাহিদা অনেক। দেশীয় প্রোডাকশন ছাড়া বাইরে থেকে আমদানি করা হচ্ছে জার্সি ও ফ্ল্যাগ। সেটা আসছে ময়দান মার্কেটে। শুধু জার্সি বা ফ্ল্যাগ নয়। এবার অংশ গ্রহণকারী দেশের লোগো সহ মাফলার বিক্রি হচ্ছে। শীতে ঠাণ্ডা থেকে দূরে রাখতে যেমন সাহায্য করবে তেমন প্রিয় দেশের লোগো সহ মাফলার জড়িয়ে চিয়ার আপ করা যাবে।


শহর থেকে বিশ্বকাপ নিয়ে ছোটো ছোটো স্মৃতি গুলো কালের নিয়মে হারিয়ে যাচ্ছে। একটা সময় বিশ্বকাপ এলে খাতার মলাটে দেখা যেত ম্যারাডোনা, রোনাল্ডো, জিদান এর ছবি। এইসব এখন দেখা যায় না। কলেজ স্ট্রিটের খাতার দোকানের এক বিক্রেতা সাগর সিকদার জানালেন খাতার মলাটে খেলোয়াড় তারকাদের ছবির ট্রেন্ডটা হারিয়ে গেছে। চাহিদাও নেই এখন কারণ ওইসব খাতার দামও অন্যান্য খাতার তুলনায় বেশি। তাই খুব একটা ব্র্যান্ডেড খাতা ছাড়া দেখা যায়না তারকা খেলোয়াড় দের ছবি।