Date : 2024-04-25

কিশমিশের ৫ উপকারিতা

সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- ড্রাই ফ্রুটের মধ্যে অন্যতম সেরা ফল কিশমিশ। কিশমিশ শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়ায় হাড় মজবুত করে। দিনে ৩০-৪০ গ্রাম কিশমিশ খাওয়া শরীরের জন্য আদর্শ। অর্থাৎ আপনি এক দিনে ৮-১০টি কিশমিশ অনায়াসেই খেতে পারেন। তবে তার তুলনায় বেশি কিশমিশ খেলে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিশমিশ অদ্রবণীয় ফাইবারের দারুণ উৎস। হজমে সাহায্য করে। পেটের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে কিশমিশে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা অন্ত্রের কার্যকারিতাকে উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি আপনার অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যও নিয়ন্ত্রণ করে।
কিশমিশের যথেষ্ট উপকারীতা রয়েছে। সেগুলি হল-
১. হজমের সমস্যা সমাধান করে- কিশমিশ অদ্রবণীয় খাদ্যতালিকাগত ফাইবার নিয়ে গঠিত। এটি একটি প্রাকৃতিক রেচক উপাদান যা মলত্যাগের উন্নতিতে সাহায্য করে। এটি মলের মসৃণ কার্যকারিতা নিশ্চিত করে। এটি আপনাকে অন্যান্য গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় যেমন গ্যাস, পেট ফোলাভাব, পেটে ব্যথা, ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম, পেট ফাঁপা ইত্যাদি।
২. ওজন বৃদ্ধি- সবাই ওজন কমাতে চায় না। সঠিক আকার পেতে অনেকেই ওজন বাড়াতে চান। ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ সমৃদ্ধ, কিশমিশে প্রচুর শক্তি রয়েছে যা খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করতে পারে।
৩. ক্যান্সার প্রতিরোধক- কিশমিশের অ্যান্টিকার্সিনোজেনিক উপকারিতা রয়েছে। কিছু গবেষণায় নিশ্চিত করা গেছে যে কিশমিশ খাওয়ার পর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমার সম্ভাবনা থাকে।

৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে- এটি আপনার রক্তচাপের মাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। কিশমিশে উচ্চ পটাসিয়াম রয়েছে যা রক্তনালীগুলিকে শিথিল করতে পারে এবং শরীরে রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করতে পারে।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়- কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি। ভিটামিন ও খণিজ লবণ সহ অন্যান্য যৌগ। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনল। তাই কিশমিশ শুধুমাত্র শরীরকে স্থিতিশীল করে না। কোষের অক্সিডেন্টিভ ক্ষতি প্রতিরোধ করে।