Date : 2024-04-19

ধর্মের কল বাতাসে নড়ে!ভরদুপুরে আচমকাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিবেশি হাজির বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক:- বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কয়েকটি মামলা শুনে এজলাসে ছেড়ে বেরোবেন বলে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।এমন সময় জৈনিক এক ব্যক্তি নাম সুনিল ভট্টাচার্য্য তিনি নিজেকে নাকতলার বাসিন্দা দাবি করেহাতজোড় করে দাঁড়ালেন । বললেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাড়ায়। আপনি যা করেছেন তার জন্য অনেক ধন্যবাদ।’’রাজ্যের গর্ব।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এমন ঘটনার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। স্বাভাবিক ভাবেই কোনও কথা না বলে অপেক্ষা করেন। আর ওই ব্যক্তি বলে চলেন— ‘‘আমাদের এলাকার বাচ্চা ছেলেরাও জানত সব (পার্থের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংক্রান্ত) বিষয়ে। আমরাও অনেক আগে থেকেই জানতাম। কিন্তু কিছু বলতাম না! কুকুরের বিষয়ে বাড়ির পরিচারিকাও জানতেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনি পূজনীয়! আমার মা আপনার কথা বলেন।’’

পার্থ এখন প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি হলেও তাঁর বসতবাড়িটি নাকতলাতেই।পার্থের প্রতিবেশীর সঙ্গে এর পর কথোপকথনও শুরু হয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। সুনিল বাবু বলতে শুরু করলেন আমি ভুবনেশ্বরে কাজ করি। বাংলা নিয়ে অনেকে খারাপ মন্তব্য করেন। যা আমাকে ব্যথিত করে।

উত্তরে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন পশ্চিমবঙ্গের গর্বের জায়গা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমাকেও মাঝে মাঝে শুনতে হয়। কয়েক বছর আগে এক বার পুরী থেকে আসার এক সহযাত্রী বলেন বাংলার কলেজে ভর্তি হতে টাকা দিতে হয়। অথচ ভুবনেশ্বরে এটা হয় না! সেদিন কথাটা শুনে আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। অন্য রাজ্যের মানুষের পশ্চিমবঙ্গের ব্যাপারে মানুষের কি মনোভাব তৈরি হয়েছে।

আপনি যুবক যুবতীদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। এ বার আসল অপরাধী ধরা পড়বে বলে মনে হচ্ছে। বিচারপতি আর বলেন সুনিল বাবুর উদ্দেশ্য আমি একটা তুলনা করছি” ভুবনেশ্বর এয়ারপোর্টে এত ফাঁকা জায়গা রয়েছে যেখানে ভবিষ্যতে অনেক কিছু করা যেতে পারে কিন্তু কলকাতা দমদম এয়ারপোর্টে মানুষ দাঁড়ানোর জায়গা নেই। যদিও সরকারি কর্মী আধিকারিকরা প্লেনে নয় ট্রেনেই যাতায়াত করেন।