Date : 2024-03-28

মৃত্যুর কাছে হার মানল ভালোবাসা, ইন্সপিরেশন হয়ে থাকল সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার ‘বাস্তবের রুপকথা’

সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক:-এ এক বাস্তবের রুপকথার গল্প। যেখানে তীব্র লড়াই, জেদ, হার না মানা আর আছে অপেক্ষা। তবুও একেবারে শেষে গিয়ে জীবনের সঙ্গে বিচ্ছেদ। সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার ভালোবাসা যেন সত্যিই হয়ে থাকল ইন্সপিরেশন

ধারাবাহিকে কাজ করতে গিয়েই আলাপ হয় দুজনের। শুরু থেকেই সম্পর্কে জড়িয়ে না পড়লেও ভালোবাসা দেখা দেয় অচিরেই। তারপর একসঙ্গে হাত ধরে পথ চলা শুরু। একসঙ্গে থেকে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা। ঐন্দ্রিলা যখন এর আগের বার লড়ছেন হাসপাতালে প্রতি মুহুর্তে পাশে থেকেছেন সব্যসাচী। সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছেন তার আপডেট। অন্যথা হয়নি এবারেও। এবারেও নিজেকে আর ঐন্দ্রিলাকে কথা দিয়েছিলেন নিজের হাতে করে তাকে হাসপাতালে এনেছেন নিজের হাতে করে নিয়ে যাবেন এর অন্যথা হবেনা। অন্যথা বোধহয় সত্যিই হল না। ঐন্দ্রিলার শেষ দিনেও সবটা জুড়ে রইলেন সব্যসাচী।

ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর আগেই তার প্রয়াণ নিয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল ভুয়ো গুজব। যা শুনে এই অবস্থাতেও তিনি লিখেছিলেন ‘আরেকটু থাকতে দাও ওকে, এসব লেখার অনেক সময় পাবে’। আবার কখনও লিখেছিলেন ঐন্দ্রিলার জন্য প্রার্থনা করতে, মির‍্যাকেলের প্রার্থনা করতে। আবার কখনও ঐন্দ্রিলা চিকিৎসায় একটু সাড়া দেওয়ার পরে সেকথাও জানিয়েছিলেন তিনি। সব্যসাচীও লড়ছিলেন কিন্তু শেষ রক্ষা হল কই!

রবিবার হাওড়া থেকে যখন শেষ বার নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন নিথর ঐন্দ্রিলা, সব্যসাচীর চোখ মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল ঠিক কী হারিয়েছেন তিনি। জীবনের সবচেয়ে কাছের মানুষ হারিয়ে যাওয়ার পরেই ডিলিট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট, আর লিখবেন না। যে তাকে লেখার জন্য উৎসাহ দিয়েছিল সেই মানুষটাই না ফেরার দেশে। কেওড়াতলা মহাশ্মশানেও দেখা গেল ঐন্দ্রিলার পা জড়িয়ে একে দিতে ভালোবাসার চুম্বন। দেখা গেল চোখে জল। নিজের হাতে চন্দনও মাখালেন প্রেমিকাকে। বারবার প্রমাণিত হল ঠিক এতটা ভালোবাসলেই সব্যসাচী হয়ে ওঠা যায়।