Date : 2024-04-20

শীতকালীন প্রসিদ্ধ খাবারের মধ্যে নাল্লি নিহারী একটা অন্যতম খাবার:

কলকাতায় শীত আসে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে। এরপর পুরোপুরি ঠান্ডা পড়তে সময় লাগে ডিসেম্বরে।
কলকাতার শীতকালীন খাবারের ঐতিহ্যগত/বৈশিষ্ট্য কী কী যদি বলি তার মধ্যে একটি হল নিহারি। নিহারী, সেটা যেকোনো মাংসের হতে পারে। যেমন মটন নিহারী। এটি একটি বিস্তৃত ধীরগতির রান্নার প্রক্রিয়া। এটি স্বাদ এবং স্বাদে সমৃদ্ধ এবং এতে প্রায় ৫০টি মশলা পরে। নিহারিতে প্রতিটি রেস্তোরাঁ নিজস্ব রেসিপি এবং গোপন মশলার মিশ্রণ দিয়ে থাকেন। নিহারির আদি কাহিনী আছি। নিহারী শব্দটি এসেছে ‘নহার’ শব্দ থেকে যার অর্থ দিন। ময়দা দিয়ে সিল করা বড় পাত্রে প্রায় ৬-৮ ঘন্টা সময় লাগে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে নবাবরা সূর্যোদয়ের নামাজ বা ফজরের পরে নিহারী করতেন। এটি অপরিহার্য মশলা সহ একটি সমৃদ্ধ স্টু। সম্ভবত সেই কারণেই নিহারীকে দৈনিক মজুরির পরিবর্তে নির্মাণস্থলে শ্রমিকদের প্রাতঃরাশ হিসাবেও পরিবেশন করা হয়েছিল। কারও কারও মতে, নিহারী মুঘল সাম্রাজ্যের সময় দিল্লিতে আবিষ্কৃত হয়েছিল।

কলকাতায় নিহারী:
খাবারে নবাবি ও মুঘল প্রভাবের এত বেশি এবং নবাব ওয়াজিদ আলি শাহের কিছু সেরা বাওয়ার্চি এবং খানসামা শহরে আনা হয়েছিল।
জাকারিয়া স্ট্রীটে র অলি গলিতে নামকরা রেস্তোরাঁয় নিহারী খাওয়ার জন্য লাইন পড়ে এই শীতকালে। মটন নিহারী ছাড়াও চিকেন নিহরীও হয়।