Date : 2024-03-29

শীত পড়ে গেছে। এই শীতে বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর ফুল ফোটে। কি কি ফুল হয় তা নিয়ে শীতকালীন কিছু ফুলের সম্ভার রইলো।

শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক: ঠাণ্ডা পড়ে গেছে। এসছে শীত। শীতে প্রকৃতি নিজেকে গুটিয়ে রাখে। গাছের পাতা ঝরে যায়। কিন্তু এই শীতেই আবার সুন্দর সুন্দর ফুল ফোটে।
শীতের আঙিনায় বসন্তের চেয়েও বেশি ফুলের সমাহার ঘটে। কারণ শীতে যে সব ফুল হয় সেগুলিকে সহজে টবে বা অল্প জায়গায় লাগানো যায়। যারা ফুলের বাগান করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য কিন্তু শীতকালটা খুব ভালো। ছোট্ট ফ্ল্যাটবাড়ির বারান্দায় বা ছাদে অনায়াসে ফুলের গাছ লাগানো যায়। অল্প জায়গায় লাগানো যায় এমন কিছু শীতের ফুল হলো যেমন –

গাঁদা:
সবার পরিচিত ফুলের মধ্যে গাঁদা হলো একটি। গাঁদা ফুল হল বিদেশি ফুল। হলুদের নানা শেড, কমলা এবং লাল রঙের হয়। হলুদ গাঁদা আফ্রিকা থেকে এসেছে। আর কালচে লাল রঙের ছিটেফোঁটা দেওয়া গাঁদা, যাকে আমরা রক্তগাঁদা বলে জানি, সে মূলত দক্ষিণ আমেরিকার ফুল। পাপড়ির সংখ্যা ভেদে সিঙ্গেল ও ডাবল- দুই রকম গাঁদা পাওয়া যায়।

জিনিয়া:
জিনিয়া মেক্সিকো ফুল। এটিও সিঙ্গেল ও ডাবল হয়। বাহারি রঙের হয় জিনিয়া। গোলাপি, সাদা, বেগুনি রঙের ছড়াছড়ি। দেখতেও ভারী মিষ্টি হয় এই ফুল। ৪-৭ সেন্টিমিটার চওড়া হয়।

ডালিয়া:
ডালিয়াও আমাদের পরিচিত শীতের মরসুমি ফুল। মেক্সিকো থেকে এসেছে। এটি শীতের সব ফুলের মধ্যে আর একটি সুন্দর ফুল। অনেকগুলো পাপড়ি থাকে, নানা রঙের হয়। কোনোটা একরঙা, কোনোটায় আবার একাধিক রঙের মিশ্রণ। ডালিয়া মূলত আকারে বড় হলেও ছোট সাইজের ডালিয়াও পাওয়া যায়।

কসমস:
কসমস মেক্সিকো থেকে আসা ফুল। পাপড়ি থাকে অল্প কয়েকটি, সাধারণত ৫টি। গোলাপির বিভিন্ন শেড, বেগুনি ও সাদা রঙের হয় ফুল। লম্বা ও চিকন ডাঁটার উপর দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগে।

চন্দ্রমল্লিকা:
চন্দ্রমল্লিকা জাপানের জাতীয় ফুল। অনেক জাতের অনেক রকমের আছে। একদম ছোট সাইজ থেকে মাঝারি সাইজ পর্যন্ত হয়। নানা রঙের হয় চন্দ্রমল্লিকা। চন্দ্রমল্লিকার সবকিছুই হরেক রকম। পাপড়ির আকৃতি, ফুলের জাত, রং, সাইজ- সবকিছুই বৈচিত্র্যপূর্ণ।