Date : 2024-04-26

শীতের শুরুতেই ভীড় চিড়িয়াখানায়

নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক:- এখনও জাঁকিয়ে শীত পড়তে কিছু দিন বাকি আছে। তবে নভেম্বর মাস পড়তে না পড়তেই সকালের দিকে শিরশিরে বাতাস কিছুটা হলেও শীতের আমেজ দিতে শুরু করেছে। শীতকাল মানেই মিঠে রোদ গায়ে মেখে স্বপরিবার কোথাও একটা ঘুরতে যাওয়া। কোভিড পরিস্থিতিতে নানা রকম বিধি নিষেধ মেনে চলতে হয়েছে মানুষকে। চিড়িয়াখানায় এসেও সেই বিধি নিষেধের মধ্যে দিয়েই সময় কাটাতে হয়েছে মানুষকে। তবে এখন অনেকটাই বদলেছে জীবনধারা। করোনা নিয়ন্ত্রণে। তাই মানুষ কিছুটা হলেও ফিরে পেয়েছে স্বস্তি।

নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় ন উপচে পড়া ভিড লক্ষ্য করা গেল চিড়িয়াখানায়। করোনার আগে মানুষ স্বপরিবার যে ভাবে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসে সময় কাটাতো ঠিক তেমনই চিত্র ধরা পড়ল এবার। শীতের রোদ পোহাতে পোহাতে চিড়িয়াখানায় বনভোজের স্বাদ লুটেপুটে উপভোগ করতে দেখা গেল দর্শকদের।

শীতের হাত থেকে পশুপাখিদের রক্ষা করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। তাদের জন্য যেমন সুসজ্জিত শোবার ব্যবস্থা করা হয়েছে তেমনই পরিবর্তন আনা হয়েছে তাদের আহারে। হিমেল উত্তরে হাওয়ার হাত থেকে পশুপাখিদের সুরক্ষা হেতু বাড়তি খেয়াল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। উইন্টার স্পেশাল বেডিং করা হয়েছে। সাপেরা এই সময় শীতঘুম দেয়। তাই সাপেদের প্রত্যেকের নিজস্ব ঘরে খড় দিয়ে বিশ্রামস্থল তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। ঠান্ডা থেকে তাদের বাঁচানোর জন্যই এই ব্যবস্থা। এছাড়া বাঘ, সিংহ, চিতা, জাগুয়ারদের মতো প্রানীদের জন্য মাটির ঠান্ডা থেকে রক্ষা করার জন্য কাঠের পাটাতন দিয়ে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে তারা কাঠের পাটাতনে ঘুমোতে পারবে । পাশাপাশি অন্য প্রাণীদের জন্য থাকছে পৃথক ব্যবস্থা। কারও কারও খাঁচার চারদিকে ত্রিপল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে। এছাড়া শীতকালের কথা মাথায় রেখে জীবজন্তুদের খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে।। মাংসাশী প্রাণীদের খাদ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে।এছাড়াও শীতকালীন বিভিন্ন রোগ জীবানুর হাত থেকে পশুপাখিদের সুরক্ষা করতেই অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল মেডিসিন-সহ বিভিন্ন জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।