Date : 2024-04-16

চার বিচারপতি’র এজলাস ফিরে নথিস্বীকার এসএসসির।সাত চাকুরিপ্রাথীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিল SSC

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক:- দীর্ঘ টালবাহানার পর আদালত অবমাননার নোটিশ পেতেই SSC সাত চাকুরীপ্রার্থীদের নিয়োগপত্র তুলে দিল বৃহস্পতিবার।
বিচারপতি অমৃতা সিনহা, বিচারপতি শেখর ববি সরাফ,বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় এবং বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস ঘুরে চাকুরী পেলেন সাতজন চাকুরিপ্রাথী।

রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশনের যে সিদ্ধান্ত ভুল ছিল।আর সেটা মেনে নিতে তাঁদের সময় লাগলো দীর্ঘ ছয় বছর। টালবাহানার পর অবশেষে বুধবার এক নম্বর পেয়ে চাকরি পেতে চলেছেন চাকুরিপ্রাথী রা। SSC আদালতে ভুল স্বীকার করলেও বঞ্চিত দের নিয়োগপত্র দিচ্ছিল না। পরীক্ষার্থীদের এক নম্বর সংযুক্ত করার নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার পাশাপাশি তাঁরা যাতে প্রাপ্ত নম্বর পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হন তা নিশ্চিত করবেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান।তাঁর পরেও অনেকটা সময় কেটে গিয়েছিল।স্কুল সার্ভিস কমিশনের সেক্রেটারি র বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ দিতেই হাতে হাতে মিললো নিয়োগপত্র।

২০১৬সালের এস এলএসটি(SLST) পরীক্ষার ভিত্তিতে উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের ইতিহাসের শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে এস এল, এস টি পরীক্ষা হয়েছিল ২৭ শে নভেম্বর ২০১৬ সালে। ফলাফল প্রকাশিত হয় ডিসেম্বর ২০১৬সালে।
এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন শম্পা দেবাংশী, এবং সৈকত ভট্টাচার্যের পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা সঠিক উত্তর দিয়েছেন সপক্ষে একাধিক বই আদালতের কাছে তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি আশীষ বাবু এসএসসি তাঁদের রিভাইজ উত্তরপত্রে উত্তরটি ভুল করেন,যার খেসারত দিতে হয়েছে মামলাকারীদের।

আইনজীবী আশিষ বাবু আর জানান ইতিহাস বিষয়ে মডেল উত্তর প্রকাশিত হয়, যেখানে প্রশ্ন উত্তর সঠিক দেওয়া ছিল।কিন্তু পরবর্তীকালে SSC একটি রিভাইজ উত্তর পত্র তৈরি করেন।সেখানে ওই প্রশ্নের উত্তরটি ভুল করে কিন্তু এটি তাঁরা কোথাও প্রকাশিত করেনি।তাই মামলাকারীরা জানতে পারেনি তাঁরা সঠিক উত্তর দিয়েও পাননি প্রাপ্ত নম্বর।২৪শে মার্চ২০২১সালে মামলাকারীরা জানতে পারেন তাঁরা সঠিক উত্তর দিয়েও এক নম্বর পাননি শুধুমাত্র স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষক মন্ডলীর ভুল উত্তরপত্র তৈরি করার জন্য।
চলতি বছরে মামলাকারীর পক্ষ থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।তাঁদের দাবি যদি এক নম্বর দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন তাহলে তারা মেধাতালিকা য় নথিভূক্ত হলে নিয়োগপত্র তারা পেতে পারেন। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশন তাদের আবেদন গ্রাহ্য করেনি বলে অভিযোগ করে কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন।

এসএসসির পক্ষের আইনজীবী সুতনু পাত্র আদালতে জানিয়েছিলেন এসএসসি উত্তরপত্রে ভুল ছিল। তবে সেটা অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে। মামলাকারীরা যদি সঠিক উত্তর দিয়ে থাকেন তাহলে তারা তাদের প্রাপ্ত নম্বর পাবেন।
তিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা ,শেখর ববি সরাফ এবং বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পৃথক ভাবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সেক্রেটারি কে নির্দেশ দেন উত্তর পত্র যাচাই করে মামলাকারীদের জানাতে হবে এবং যদি মামলাকারীদের এক নম্বর বাড়ে তাহলে আইনঅনুগ ব্যবস্থা নেবেন।