Date : 2024-04-20

কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল আর্জেন্টিনা

লিওনেল মেসি – এমিলিয়ানো মার্টিনেজের ম্যাজিকে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল আর্জেন্টিনা। প্রথম ৯০ মিনিটেই গোল করে এবং করিয়ে আর্জেন্টিনার নায়ক বনে যান লিওনেল মেসি। কিন্তু টাই ব্রেকারে জোড়া সেভ দিয়ে সবার নজর কেড়ে নিলেন মেসিদের গোলরক্ষক মার্টিনেজ। জীবনের শেষ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জ্বলে উঠেছিলেন এলএমটেন। বা-পায়ের জাদুতে মোলিনাকে দিয়ে প্রথমে একটি গোল করালেন। পরে একটি নিজেও করলেন। সেই সুবাদেই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার টিকিট পাবে আর্জেন্টিনা, এমন ভেবেছিলেন অনেকে। তবে কাজটা নিজেরাই কাজ কঠিন করে ফেলে আর্জেন্টিনার রক্ষণের ফুটবলাররা। নেদারল্যান্ডস রুক্ষনে প্রথম মিনিট থেকেই একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে নীলসাদা জার্সিধারীরা। মেসি – আলভারেজদের একনাগাড়ে আক্রমণের সামনে একটা সময় অসহায় দেখাচ্ছিল টোটাল ফুটবলের দেশ নেদারল্যান্ডসকে । ম্যাচের ৩৫ মিনিটে মেসির বা পায়ের অনবদ্য পাস নেদারল্যান্ডস বক্সের ভেতর পেয়ে যান মোলিনা। মেসির সাজিয়ে দেওয়া বলে পা ছুইয়ে গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন মোলিনা।

এই ম্যাচে 5 জন রক্ষণভাগের ফুটবলারকে নিয়ে দল নামিয়েছিলেন লুইস স্কালোনি। মোলিনাকে রেখেছিলেন ডানপ্রান্ত বরাবর আক্রমণের জন্য। রাইট ব্যাক থেকে ওভারল্যাপ করে গোল করে আর্জেন্টিনাকে গোলের দেখাও দিলেন সেই মোলিনা। দ্বিতীয় গোল অবশ্য করলেন আর্জেন্টাইন ফুটবলের রাজপুত্র লিওনেল মেসি নিজেই। ৭২ মিনিটে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। স্পট কিক থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন লিওনেল মেসি । এই গোলের সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয় দলের জার্সিতে ৯৫ গোল করে আর্জেন্টিনার আরেক তারকা গ্যব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে ছুঁয়ে ফেললেন এলএমটেন। যদিও ম্যাচে বাকি ছিল আরো নাটক । ৮২ মিনিটে একটি গোল করে নেদারল্যান্ডসের ব্যাবধান কমান ওয়েগহার্স্ট। ম্যাচের সংযুক্তি সময় ফ্রী কিক থেকে অসাধারণ বোঝা পড়ায় গোল করে ডাচদের সমতায় ফেরান সেই ওয়েগহার্স্ট। এরপর ম্যাচের উত্তেজনায় বারবার মাথা গরম করে ফেলে দুই দলের ফুটবলাররা। ১২০ মিনিটে ম্যাচ ২-২ থাকায় খেলা গড়ায় টাই ব্রেকারে। সেখানেই ৪-৩ গোলে নেদারল্যান্ডসকে হারাল স্ক্যালোনির ছেলেরা। এক্ষেত্রে অবশ্য সম্পূর্ণ অবদান আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের। প্রথম দুই শটেই ভ্যান জিক এবং বেরঘুইসের শট সেভ দেন এমি মার্টিনেজ। ১২০ মিনিটের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের শেষে জয়ের হাসি হেসেই মাঠ ছাড়ে স্কালোনির দল।