সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক:- সময়ের অভাবে অনেক সময় ঘরে সাধারণত এক- দুদিনের রান্না করে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়। সেই খাবারই পুনরায় গরম করে খাওয়া হয়। কিন্তু সেই খাবার পুনরায় গরম করে খাওয়া বেশ ক্ষতিকর, এতেস্বাস্থ্যের ঝুঁকি অনেক গুন বেড়ে যায়। এমন কয়েকটি খাবার আছে যা প্রতিদিন পুনরায় গরম করে প্রায়ই খাওয়া হয়ে থাকে। এরকম ৮টি খাবারের সম্পর্কে আজ জেনে রাখুন, যেগুলো ভুলেও পুনরায় গরম করবেন না।
১। মাশরুম : সাধারণত মাশরুমে থাকা ফাইবার ও এনজাইম হজমে সাহায্য করে। এটি অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কাজ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং কোলনের পুষ্টি উপাদান শোষণকেও বাড়াতে সাহায্য করে। তাই মাশরুম একবার রান্নার পরে দ্বিতীয়বার গরম করে খেলে তা আমাদের পেটের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
২। মুরগির মাংস : অনেকেই সময় বাঁচানোর জন্য বেশি করে মুরগির মাংস রান্না করে রাখি। কিন্তু মুরগির মাংস বার বার গরম করে খাওয়া উচিত নয়। কারণ মুরগির মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। রান্নার পরে ফের তা গরম করলে প্রোটিনের কম্পোজিশন বদলে গিয়ে তা থেকে বদহজম হতে পারে।
৩। চা : আমাদের অনেকেরই জানা যে একবার চা বানানোর পর তা ঠান্ডা হয়ে গেলে পুনরায় গরম করা উচিত নয়। কারণ চায়ের মধ্যে ট্যানিক অ্যাসিড থাকে। তৈরি করা চা ফের গরম করে পান করলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে।
৪। ভাত : ভাত রান্না করার সময় তাতে বেসিলস সিরিয়াস ব্যাক্টেরিয়া তৈরি হয়। রান্না করা ভাত ফের গরম করলে এই ব্যাক্টেরিয়া সংখ্যায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়ে ডায়েরিয়া পর্যন্ত হতে পারে।
৫। আলু : আলু রান্না বা সেদ্ধ করার পরে ঠাণ্ডা হওয়ার সময় তাতে বটুলিজম নামে একটি ব্যাক্টেরিয়া তৈরি হয়। ফের তা গরম করলে এই ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যাগুলি বেড়ে গিয়ে খাদ্যে বিষক্রিয়া পর্যন্ত হতে পারে।
৬। ডিম : ডিমের মধ্যেও বেশি পরিমাণে প্রোটিন এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। রান্নার পরে আবার তা গরম করলে ডিম থেকে টক্সিন তৈরি হবে যা থেকে বদহজমের আশঙ্কা তৈরি হয়।
৭। পোড়া বা খাবার তেল : অনেক সময় খাবার রান্নার পর অবশিষ্ট তেল রেখে দেওয়া হয়, পরবর্তী কোনও খাবার রান্নার জন্য। কিন্তু একবারও কি খেয়াল করেছি এটা আমাদের শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর । পোড়া তেল ফের গরম করে রান্নায় ব্যবহার করলে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
৮। পালং শাক : পালং শাকও রান্নার পর পুনরায় গরম করা উচিত নয়। পালং শাকে অতিরিক্ত পরিমাণে নাইট্রেটস থাকে। রান্না করা পালং শাক ফের গরম করে খেলে শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন বেশি মাত্রায় ঢুকতে পারে।