সঞ্জু সুর, সাংবাদিক ঃ ফের মুখোমুখি মমতা-মোদি। বছর শেষের আগেই ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহেই দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে মূলতঃ রাজ্যের বকেয়া প্রসঙ্গ নিয়ে দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। তার কয়েকদিন পর ফের এক বৈঠকে দুজনেই উপস্থিত ছিলেন। সেটা অবশ্য ছিলো ভার্চুয়াল বৈঠক। জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে কালীঘাটের বাড়ি থেকেই যোগ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সেই বৈঠকে সময়ের অভাবে কোনো কিছুই তিনি বলতে পারেন নি। এরপর একই মাসের মধ্যে ফের একবার একই মঞ্চ শেয়ার করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার সেকথা নিজেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্ক অনেকদিন ধরেই আমাদের রাজ্যে বিজেপি-তৃণমূল সম্পর্কের মতো আদায় কাঁচকলায়। বিভিন্ন প্রকল্পে বকেয়া থাকা নিয়ে একদিকে যেমন মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন মুখপাত্র বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন, ঠিক তেমনি বকেয়া বন্ধ রাখার সপক্ষে বিজেপির এরাজ্যের নেতারাও ঠারে ঠারে যুক্তির জাল বুনেছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা যেন সেই আদায় কাঁচকলায় সম্পর্কে কিছুটা ছাড় দিয়েছে। যে মুখ্যমন্ত্রী দিল্লির ডাকা প্রায় বেশিরভাগ বৈঠক এড়িয়ে যেতেন, সেই তিনিই একই মাসে তিনবার প্রধানমন্ত্রীর পৌরহিত্যে ডাকা বৈঠকে উপস্থিত হচ্ছেন, এটা একপ্রকার নজিরবিহীন ঘটনা। অনেকে এটাকে রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে প্রশাসনিক বাধ্যবাধকতাকেই প্রাধাণ্য দিচ্ছেন। কারণ, যেকোনো কারণ দেখিয়ে দিল্লি টাকা আটকে রাখলে তাতে আখেরে রাজ্যের সমস্যা। যা পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের শাসকদলের কাছে মাথা ব্যাথার কারণ। এই সমস্যা থেকে বের হওয়ার জন্যই কেন্দ্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলার উপর জোড় দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই মত অনেকের।