ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় প্রিয়াঙ্কা সাউ নামে এক প্রার্থীকে চাকরি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পদ্ধতি না মেনে সেই চাকরির দাবি করতে এসে বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির রোষের মুখে প্রীতি নারজারিন নামে এক প্রার্থী। আদালতকে বিপথে চালিত করার জন্য তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গাঙ্গুলী। ২১ দিনের মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশন কে জরিমানার অর্থ মিটিয়ে দিতে হবে প্রীতিকে।
ঘটনা হলো ২০১৮ সালে নবম দশম এবং একাদশ দ্বাদশে নিয়োগ সংক্রান্ত প্যানেল প্রকাশিত হয়। একাদশ দ্বাদশের ওয়েটিং লিস্টে ছিলেন প্রীতি। নবম দশমের প্যানেলেও তার নাম ছিল। একাদশ দ্বাদশের পরিবর্তে তিনি নবম দশমের শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করেন।
শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি প্রকাশে আসার পর একাধিক মামলা হয়। যার জেরে ২০২২ সালের জুলাই মাসে একাদশ দ্বাদশের ক্ষেত্রে নম্বর বিভাজনসহ তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয়। তালিকা প্রকাশের পরও চুপ ছিলেন প্রীতি। এদিকে চাকরির দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন প্রিয়াঙ্কা সাউ। সবদিক বিবেচনা করে প্রিয়াঙ্কাকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এবং তাকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেন। এতদিন চুপ থাকার পর এবার প্রিয়াঙ্কার জায়গায় চাকরির দাবি করে বিচারপতি গাঙ্গুলীর মামলা করেন প্রীতি।
শুক্রবার প্রীতির আইনজীবীর দাবী ছিল এতকিছু হয়ে যাওয়ার পরও তিনি বিষয়টি জানতেন না। কমিশনের উল্টে এসএসসির তাকে বিষয়টি জানানো উচিত ছিল বলে স ওয়াল করেন প্রীতির আইনজীবী। কিন্তু সমস্তটা শোনার পর এই যুক্তি মানতে চাননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
আদালতকে বিপথে চালিত করার জন্য তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।