ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : দীর্ঘদিনের ধরে বেহাল দুর্দশা কলকাতা পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত কেএমডিএ বিল্ডিং। হরিনাথ দে স্ট্রিটের অবস্থিত প্রায় ৪ বিঘে ৪ কাঠা এলাকা জুড়ে রয়েছে ৪ টি ব্লকে চারটে বিল্ডিং। ইতিমধ্যে ব্লক A কে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে। এমন কি নতুন বিল্ডিং নির্মাণ করার জন্য পাইলিং এর কাজ শুরু হয়েছে। এই জায়গায় প্রায় ২৫২ টি পরিবার থাকে। শনিবার KMDA র কাজ পরিদর্শন করতে আসেন পৌর ও নগর উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
KMDA পরিদর্শনে এলাকার পৌর পিতা অয়ন চক্রবর্তী কে সঙ্গে নিয়ে জায়গা পরিদর্শন করেন মেয়র।তিনি সম্পূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন। খুঁটিয়ে দেখান কাজের অগ্রগতি কি ভাবে এগোচ্ছে। তবে এ ব্লক ভেঙে দিয়ে তার জায়গায় নতুন বিল্ডিং তৈরি করা হলেও এখনও ব্লক বি, সি এবং ডি ব্লকের বাসিন্দারা এখনও জায়গায় ফাঁকা করেনি। তাই আজকে নিজেই এসে এদিন মেয়র ফিরহাদ হাকিম তাদের কে আহ্বান জানান যে যাতে প্রাণের ঝুঁকি না নিয়ে তারা বাকি বিল্ডিং গুলি ফাঁকা করেন দিক। তাদের কে বিকল্প জায়গায় অস্থায়ী পূর্নবাসন দিয়ে দেওয়া হবে।
পাশাপাশি কলকাতা পৌর সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের পজিশনিং লেটার ও দেওয়া হবে আশ্বস্ত দেন তিনি। পাশাপাশি মেয়র সুর চড়িয়ে যারা জায়গায় ফাঁকা করছেন তাদের কে হুশিয়ারিও দেন মেয়র। তিনি বলেন যে কলকাতা পৌর সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী বিপদজনক বাড়ি থেকে বাসিন্দা দের সরিয়ে যেতে হবে নাহলে পুলিশ দিয়ে তাদের কে সরিয়ে দেওয়া হবে। কারণ বাড়ি ভেঙে গিয়ে যদি কারোর প্রাণ চলে যায়, তখন সরকারকে দোষারোপ করবেন। তাই তিনি সকলের কাছে আবেদন জানান যে একবছরের ভিতরে তারা জায়গায় পেয়ে যাবেন । তাই যত দ্রুত সম্ভব বাড়ি ছেড়ে দিতে হবে। খুব দ্রুত তারা পুনর্বাসন পাবেন বলেও আশ্বাস দেন মেয়র।
তিনি আর জানান যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ২০ কোটি টাকা খরচ করে এই প্রজেক্ট করা হচ্ছে। তিনি জানান যে এইসব বাড়ি থেকে রাজ্য এবং পুরসভার কোষাগারে বিশেষে অর্থ আসে না।এদিন কে এম ডি এ টেনেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মেয়র কে সম্বর্ধনা ও দেওয়া হয়। এদিন মেয়রের আশ্বাস পেয়ে বেশিভাগ মানুষ মুখ্যমন্ত্রী কে ধন্যবাদ জানান ।
তবে কিছু মানুষ এখনও জায়গায় ছাড়তে নারাজ। তাদের অভিযোগ যে তাদের কে বলা হয়েছিল যে তাদের এই জায়গায় টিন দিয়ে তাদের কে বিকল্প জায়গায় দেওয়া হবে। তাই তারা জায়গায় ছাড়তে চাইছেন না বলে জানিয়েছে । তবে বেশি ভাগই মানুষ চাইছেন যে তাদের জন্য ভালো হচ্ছে। তাই আমাদের তো সাহায্য করতেই হবে। এদিন জোর কদমে কাজ চলছে ।KMDA র থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে যে নভেম্বর মাসের মধ্যে যাতে প্রথম দফার যারা জায়গায় ফাঁকা করেছেন। তারা জায়গা পাবে বলে আশ্বস্ত দিয়েছেন মেয়র।