Date : 2024-04-20

বছর ঘুরলেও এখনও কলকাতা পুরসভার উঠল না খরচে উপর নিষেধাজ্ঞা। যা নিয়ে কটাক্ষ করছেন বিরোধীরা।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : বছর ঘুরে নতুন বছরের প্রথম মাস প্রায় শেষের মুখে ।কিন্তু ২০২২-২০২৩ আর্থিক বছর শেষের মুখেও খরচের উপর এখনও উঠল না নিষেধাজ্ঞা। আর্থিক সমস্যা জট কাটিয়ে কিছুটা হলেও সচ্ছল হয়েছে।লক্ষীর মুখ দেখতে শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। তবে বছর শেষে খরচে নিষেধাজ্ঞা না ওঠায় প্রশ্ন তুলেছেন কলকাতা পৌরসভার বিরোধী কাউন্সিলরা। তাঁদের অভিযোগ আয় বাড়ার যে দাবি মাঝেমধ্যেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম করে থাকেন সেটা কতটা সত্য তা বছর শেষে খরচের ওপর নিষেধাজ্ঞাই প্রমাণ করে।

বিরোধীদের অভিযোগের প্রসঙ্গে মেয়রের দাবি, বিভিন্ন খাতে প্রতি মাসে অতিরিক্ত ৯৪ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে কলকাতা পুরসভায়। তাই খরচে ৪০ শতাংশ নিষেধাজ্ঞা জারি আছে এখনো।

পুরসভা সূত্রের খবর প্রতিবছর বাজেট পেশের পর আর্থিক বছরের শুরুতেই খরচে উপর নির্দিষ্ট হারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়ে থাকে পুরো কর্তৃপক্ষের তরফে মূলত দুটি বিষয়ে। এক উন্নয়ন খাতে দ্বিতীয় রক্ষণাবেক্ষণ খাত। খাতে।কোন কোন বছরে ৪০% শতাংশ পরবর্তী সময়ে আরো ২০% শতাংশ খরচ করা হয়। অর্থাৎ ষাট শতাংশ বছরের শেষে ৪০% শতাংশ খরচের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে যা বাজে ট হওয়ার আগে তুলে নেওয়া হয়।

আধিকারিকরা জানাচ্ছেন অঙ্কের হিসেবে ১০০ টাকার বাজেট বরাদ্দ হলে ৪০ টাকা খরচ করতে পারবেন সেই সংশ্লিষ্ট কাজে জন্য। প্রয়োজনে পরে আরও ২০ টাকা খরচ করতে পারবে। অর্থাৎ ৬০ টাকা খরচ করলেও ৪০ টাকা খরচের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকে। যা বছর শেষে কয়েক মাস আগেই তুলে নেওয়া হয়।
চলতি বছরে উন্নয়ন খাতে এবং রক্ষণাবেক্ষণ খাতে উভয়ের উপর এখনো ৪০% শতাংশ এমবার্গ প্রত্যাহার করা হয়নি। যেকারণে বিরোধীরা অভিযোগ করছেন কোষাগারের হাল ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পৌর বোর্ড। তাই বরাদ্দের টাকাও সম্পূর্ন দিতে পারছে না। ১০০ টাকা বরাদ্দ করলেও বছর শেষ দেখা যাচ্ছে ৪০ টাকা দিতে না পারায় খরচে নিষেধাজ্ঞা বজায় রেখেছে।
এই প্রসঙ্গে মেয়র দাবি করেছেন, পে কমিশন , পেনশন সহ আরো বেশ কিছু খাতে তাদের খরচ বেড়েছে। তাই আয় খানিক বাড়লেও প্রতি মাসে ৯৪ কোটি টাকা সেই সমস্ত খাতে অতিরিক্ত খরচ করতে হয়। ফলে ৪০ শতাংশ নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল আছে।

তবে কলকাতা পুরসভায় রাজকোষ বাড়াতে হবে । পৌর এবং নাগরিক পরিষেবা যাতে অবাধ এবং সুষ্ঠুভাবে দেওয়া যায় তাই চলতি অর্থবর্ষ শেষের আগে অন্তত ১২০০ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কলকাতা পুরসভার কর মূল্যায়ন এবং রাজস্ব আদায়। এছাড়াও কার পার্কিং, বিজ্ঞাপন, লাইসেন্স খাতেও আয় বৃদ্ধিতে আরো বেশি করে জোড় দেওয়া হয়েছে বলে দাবি মেয়র ফিরহাদ হাকিমের।