Date : 2024-04-19

বিতর্কের নাম ব্রিজভূষণ। আসলে তিনি কে?

কেন্দ্রীয় সরকারের আশ্বাসেও বরফ গলল না। নিজের অবস্থানেই অনড় ভারতীয় কুস্তিগিররা। জন্তর মন্তরের সামনে চালিয়ে যাচ্ছেন ধর্না। ব্রিজভুষণ সিং স্রেফ পদত্যাগ করলেই হবে না, তাদের শাস্তি দাবি কুস্তিগিরদের। বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা ব্রিজভূষণ সিং আসে কে? দেখে নে। দিল্লির কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই ব্রিজভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন ভিনেশ ফোগত, সাক্ষী মালিকরা। মহিলা কুস্তিগিরদের ওপর যৌন হেনস্থার অভিযোগে চলছে এই ধর্না। বিজেপি সাংসদ তথা ভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি নিজে সে অভিযোগ অস্বীকার করলেও কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক নড়েচড়ে বসছে। ব্রিজভূষণ সিংকে ইতিমধ্যেই ক্রৣড়ার সমস্ত পদ থেকে পদত্যাগ দিতে বলা হয়েছে। নাখুশি ব্রিজ ভূষণ সিং অবশ্য বলেছেন তিনি নির্দোষ তাই কলঙ্কিত হয়ে পদত্যাগ করে পালিয়ে যা঵েন না। যদিও পদত্যাগ তাঁকে করতেই হচ্ছে। অবশ্য স্রেফ কেন্দ্রের নির্দেশে ফেডারেশন সভাপতির পদত্যাগেই খুশি নন কুস্তিগিররা৤ প্রত্যেকেই চাইছে হাজতবাস হোক মহিলাদের যৌন হেনস্থা করা কুস্তি ফেডারেশন সভাপতির। এফআইআরও দায়ের হতে পারে কুস্তি ব্রিজ ভূষণ সিংয়ের বিপক্ষে। যদিও এখনই তারা এফআইআরের পথে হাঁটছেন না। ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পিটি উষার কাছে লিখিত নালিশ জানিয়ে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েছে কুস্তিগিররা। তাতে সই করেছেন বজরং পুনিয়া, রবি দাহিয়া, দীপক পুনিয়ার মতো প্রথম সারির খেলোয়াড়রা। বর্তমান কুস্তি সংস্থার কমিটিও ভেঙে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। দিল্লি মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে, কেন কুস্তিগিরদের ধর্নায় বসতে হবে। কেন কেন্দ্রের তরফে স্বতপ্রনোদিতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। দেশের যারা গর্ব, তাদের কেন রাজপথে বসে থাকতে হচ্ছে। তবে কে এই ব্রিজভূষণ সিং, দেখা যাক—–
বিতর্কে নাম ব্রিজভূষণ
বেশ কয়েক বছর ধরে ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি রয়েছেন তিনি
1980 সাল থেকে রাজনীতির সঙ্গে যোগ রয়েছে তার
ছোটবেলা থেকেই কুস্তির আখরায় আনাগোনা ছিল ব্রিজভূষণ সিংয়ের
1991 সাল থেকে প্রত্যেকবারই লোকসভা নির্বাচনে জিতে আসছেন তিনি
সমাজবাদী পার্টির হয়েও কাইজারগঞ্জ থেকে লোকসভায় জিতেছেন
90-এর দশক থেকেই তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা রুজু হয়েছে
ছোটবেলায় কুস্তিগির থাকায় বরাবরই নিজেকে এক প্রভাবশালী চরিত্র হিসেবে দেখান
ঠোঁটকাটা কথাবার্তার সঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য মাঝে মধ্যেই শিরোনামে আসেন তিনি
এক অনূর্ধ্ব 15 কুস্তি প্রতিযোগিতা চলাকালীন এক প্রতিযোগীকে চড় মারেন তিনি

রাজধানীতে বিতর্কে চরম আকার নিয়েছে তা বলাই যায়। ইতিমধ্যেই জাতীয় রাজনীতিতে এই বিষয়কে নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।তবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশকে গৌরবান্বিত করা খেলোয়াড়দের ধর্নায় বসা যে আখেরে দেশের গর্ব ক্ষুন্ন করছে তা বুঝে কত দ্রুত ব্যবস্থা নেয় কেন্দ্রীয় সরকার, সেটাই এখন দেখার।