Date : 2024-04-26

রাজ্যের সমস্ত পুলিশ স্টেশনে সচল রাখতে হবে CCTV। বিজেপি মহিলা কর্মীকে মারধরের ঘটনায় DG কে নির্দেশ হাইকোর্টের।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : রাজ্যের সমস্ত থানায় অচল রাখতে সিসিটিভি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা কুলপিতে বিজেপি মহিলা কর্মীকে পুলিশ লকাপে মারধরের ঘটনায় পাওয়া যায়নি সিসিটিভির ফুটেজ।কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিলেন রাজ্য পুলিসের ডিজি মনোজ মালব্য।

ডিজির রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই রাজ্যের থানা গুলিতে সিসিটিভি সচলকিনা তা নিশ্চিত করবেন।পাশাপাশি যে সমস্ত থানায় সিসিটিভি নেই সেগুলো কে ৭ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিসিটিভি সচল করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। ডিজি খতিয়ে দেখবেন সিসিটিভি লাগানো হচ্ছে কিনা প্রয়োজনে সিআইডির সাহায্য নিতে পারেন ডিজি, নির্দেশ বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা কুলপি থানায় এ এস আই ইন্দ্রজিৎ সূররের বিরুদ্ধে অভিযোগ মদ্যপ অবস্থায় এক মহিলাকে দেহের বিভিন্ন অংশে লাথি ঘুসি এবং লাঠি দিয়ে প্রহার করা হয়েছিল।
ডিসেম্বর মাসে শুনানি চলাকালীন বিচারপতি রাজাশেখর মন্তা রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং স্বরাষ্ট্র সচিব কে নির্দেশ দিয়েছিলেন ১৭ই জানুয়ারির মধ্যে রাজ্যের সমস্ত থানা গুলিতে সিসিটিভির হ্যালো হকিকত সম্পর্কে পাঠানো হয়েছিল। (সুপ্রিম কোর্ট অনুযায়ী রাজ্যের সমস্ত থানা গুলিতে সিসিটিভি বাধ্যতামূলক)

মামলাকারির পক্ষের আইনজীবী রাজেশ নস্কর জানিয়েছেন ২০২২সালের ২৫শে এপ্রিল দক্ষিণ ২৪পরগণার কুলপি থানা এলাকায় এক মহিলা বিজেপি কর্মীকে পুলিশ রাতে তুলে নিয়ে আসেন।এবং তাঁকে দড়িদিয়ে বেঁধে তাঁকে প্রথমে লাথি, ঘুষি, এবং পরে লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রহার করেন বলে অভিযোগ।

পাশাপাশি যে কোনও স্বতন্ত্র সংস্থাকে দিয়ে গোটা ঘটনার তদন্ত করানো হোক। যদিও এই বিষয়ে রাজ্যের তরফ থেকেও পাল্টা বক্তব্য জানানো হয়। রাজ্যের পাল্টা দাবি, রাতে নয়, সকালেই গ্রেফতার করা হয়েছিল ওই বিজেপি কর্মীকে। এদিন হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন, ওই দিনের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা দিতে হবে। সেই সঙ্গে ওই মহিলার মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যও কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন স্থির হয়েছে ১৯ সেপ্টেম্বর।

মামলাকারীর আইনজীবী রাজেশ নস্কর এই বিষয়ে জানিয়েছেন, “আবেদনকারীর দিদির মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছিল। এরপর রাজনৈতিক ইস্যুতে আবেদনকারীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। অ্যারেস্ট মেমোতে দেখানো হয়েছে, ২৬ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু আসলে গ্রেফতার হয়েছিল ২৫ এপ্রিল রাতে। হেফাজতে থাকাকালীন অত্যাচারও করা হয়।” আইনজীবী আরও জানিয়েছেন, আদালত সিসিটিভি ফুটেজ এবং মহিলার মোবাইলের টাওয়ারের লোকেশনের তথ্য চাওয়ায় তাঁরা খুশি। যে মহিলাকে মারধর করা হয়েছে, তিনি কুলপিতে বিজেপির কর্মী বলেও জানিয়েছেন মামলাকারী আইনজীবী।২৫শে এপ্রিল ২০২২সালে যেদিন পুলিশ তাঁকে থানায় তুলে এনেছিল এবং পুলিশ লকাপে রাখা হয়েছিল সেদিন থানায় কোন মহিলা পুলিশকর্মী ছিলনা বলেও দাবি আইনজীবীর।পরের দিন অর্থাৎ ২৬শে এপ্রিল ওই বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার দেখায়।