Date : 2024-04-18

CBI এবং SSC র গাফিলতির কারণে সামাজিক সম্মানহানি এবং কর্মক্ষেত্রে শিক্ষকদের চাকরি অনিশ্চয়তার অভিযোগ দায়ের হল মামলা।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : নবম-দশম শ্রেণীর এসএলএসটিতে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ যা তদন্ত করছে সিবিআই। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল বিলম্ব না করে যত দ্রুত সম্ভব ওএম আর সিট প্রকাশ করতে হবে।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন ২২শে ডিসেম্বর ২০২২ এ OMR শিট প্রকাশ করেন। তার মধ্যে ৯৫২ জনের নম্বর কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ।৯৫২জন প্রার্থীর নাম, বাবার নাম, স্কুলের নাম ,বাড়ির ঠিকানা, সমস্ত কিছু প্রকাশ করতে বলা হয়েছিল।

সেতাববুদ্দিনের করা মামলায় ৯৫২ জনের তালিকা প্রকাশ করে এসএসসি। সেখানে মামলাকারী নীতিশ সরকার সহ ৭জন তারা কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয় তাদের অভিযোগ তালিকায় সঠিক তথ্য দেওয়া হয়নি বলে দাবি।

মামলাকারীদের অভিযোগ যে মহামান্য বিচারপতি শেখর ববি সারাফ ২০শে ডিসেম্বর ২০১৮ সালের নির্দেশের ভিত্তিতে মামলাকারীদের ইতিহাস বিষয়ে এক নম্বর বেড়ে কয়েকজন নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।পরবর্তী সময়ে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগপত্র পেয়েছেন। যেখানে নম্বর বাড়ানো বা কারচুপি হওয়ার কোন জায়গা ছিল না।তাহলে কিভাবে তাদের নাম অবৈধ তালিকায় যুক্ত করা হলো? যে কারণে তাঁদের সামাজিক সম্মানহানি তো হয়েইছে এবং কর্মরত স্কুলেও তাঁরা ঢুকতে পারছেন না। ২৯ শে ডিসেম্বর ২০২২ সালের SSCর মেমোকে চ্যালেঞ্জ করে শেতাবউদ্দিনের মামলায় সংযুক্ত হওয়ারও আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

মামলাকারী নীতিশ সরকার ইলিয়াস বিশ্বাস সহ ৬ জন মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী বলেন সিবিআই এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের মধ্যে সঠিক তথ্য আদান-প্রদান এবং তথ্য যাচাই না করার কারণে মামলাকারীদের সামাজিক ভাবে সম্মানহানি হয়েছে যা অবাঞ্চিত। এবং আইনত সঠিক নয় ।কারণ যখন মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে এবং সেই মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে প্রার্থীদের নম্বর বাড়ানো হয়েছে সে ক্ষেত্রে সেই প্রার্থীদের অবৈধ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা সম্পূর্ণ বেআইনি। এবং শুধু তাই নয় তালিকা বাতিলযোগ্য। কারণ সমস্ত তথ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে থাকা সত্ত্বেও CBI এর হাতে তুলে দেয়নি তাঁরা।

তথ্য যাচাই করা সত্ত্বেও এইভাবে তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন যে কারণে মামলাকারীদের সম্মানহানি হয়েছে এবং কর্ম ক্ষেত্রে তারা যোগদান করতে পারছেন না। আদালতের কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরবো যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের এক্ষেত্রে গাফিলতি ছিল।

আগামী ১১ই জানুয়ারি মামলার শুনানি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে।