নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : দিনের পর দিন মাসের পর মাস তাদের ঠিকানা হয়ে উঠেছে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ। দাবি একটাই “নিয়োগ চাই ‘ভরসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভরসার মানুষটির কাছে চিঠি পাঠালেন এসএলএসটি নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর মেধা তালিকা ভুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে এস এল এস টি চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না ৬৮৮ দিনে পড়ল । মঙ্গলবার তাঁরা “দিদিকে বলো’ কর্মসূচি পালন করেন। প্রত্যেক আন্দোলনকারী নবান্নে ডাকযোগে একটি করে চিঠি পাঠান।
যাদের আজকে স্কুলে বসে পড়ানোর কথা ছিল, তারা নিজেদের চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসে দিদির দরবারে চিঠি লিখলেন। প্রত্যেক ২০১৬ সালের এসএলএসটি নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় মেধা তালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা নিজেদের যন্ত্রণাদায়ক জীবনের কথা চিঠিতে উল্লেখ করেন। কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থীর চিঠিতে একটিই ঠিকানা লেখা ছিল, নবান্নের ঠিকানা।
মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে চিঠির মাধ্যমে তারা নিয়োগ পত্রের আবেদন জানান। চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য চিঠির মাধ্যমে তারা তুলে ধরেছেন তাদের বঞ্চনার কথা, কিভাবে তারা নিয়োগ সংক্রান্ত নানা অসংগতির কারণে বঞ্চিত হয়েছেন সেই কথা। পাশাপাশি তাদের এখনো যে ভরসার মানুষ মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে সে কথাও উল্লেখ করেছেন তারা। তারা জিপিও তে গিয়ে তাদের চিঠি ডাকবক্সে ফেলেন। পুলিশের গাড়িতে আন্দোলনকারীদের দশজনকে জিপিও-তে নিয়ে যাওয়া হয়।
৬৮৮ দিন ধরে পরিবার পরিজন ছেড়ে রাস্তায় একের পর এক উৎসব কেটেছে রাস্তায়। তবুও তারা থেমে যায়নি চলছে তাদের লড়াই। যতদিন না হাতে পাচ্ছেন নিয়োগ পত্র ততদিন পর্যন্ত চলবে তাদের লড়াই এমনই বক্তব্য আন্দোলনকারীদের