ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক:- কথায় আছে”কারোর পৌষ মাস তো কারোর সর্বনাশ” OMR সিট প্রকাশ হওয়ার পরেই অনেকের চাকরি সংশয় হয়ে পড়েছে।শুধু তাই নয় সামাজিক সম্মানহানিও আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু OMR সিট প্রকাশের পর বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর ভাগ্য খুলে গিয়েছে। যার প্রমাণ মিলল শুক্রবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের এজলাসে।
নবম দশম শ্রেণীর এসএলএসটিতে নিয়োগে বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল যা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পাশাপাশি ও এম আর সিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।
রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন গত ২২শে ডিসেম্বর ২০২২সালে OMR সিট প্রকাশ করে। ওয়েটিং লিস্টে থাকা ১৫ জন চাকরিপ্রার্থী কঙ্কন মন্ডল, আলমগীর হোসেন, রূপালী বেজ সহ ১২জন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
মামলাকারীদের অভিযোগ স্কুল সার্ভিস কমিশন নবম দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় একটি প্রশ্নের উত্তর ভুল করায় তারা চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বারবার এসএসসির কাছে আবেদন জানিয়েও কোন সূরাহা না পেয়ে অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশে রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন ও এম আর সিট উত্তরপত্র প্রকাশ করে ২০২২ সালের ২২শে ডিসেম্বর।সেই প্রকাশিত OMR সিট যাচাই করে মামলাকারীদের দাবি তারা সঠিক উত্তর দিয়েছেন।
শুক্রবার মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতে জানান স্কুল সার্ভিস কমিশন একটি প্রশ্নের ভুল উত্তর করায় সঠিক উত্তর দেওয়া সত্ত্বেও চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত করেছেন। মহামান্য আদালতের বিভিন্ন বিচারপতি এক নম্বর বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও যে সমস্ত প্রার্থী অতিরিক্ত এক নম্বর পাওয়ার আবেদন করেছে তাদের নম্বর ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তরপত্র যাচাই করে নম্বর বাড়ায়নি SSC। তাই নিরুপায় হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়।২২ শে ডিসেম্বর ওএমআর শিট প্রকাশিত হতেই এই বিষয়টি পরিষ্কার হয়।যে মামলাকারীদের উত্তর সঠিক। এবং তাদের সঠিক উত্তর স্বপক্ষে বিচারপতির কাছে বিভিন্ন বই তুলে ধরেন। যে পরীক্ষার্থীরা সঠিক উত্তরই দিয়েছেন।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশে OMR সিট (উত্তরপত্র) প্রকাশিত হয় ২২শে ডিসেম্বর ২০২২ ,সেই প্রকাশিত ওএমআর সিট যাচাই করে তাদের উত্তর যে সঠিক তা হাইকোর্টে মান্যতা পায়।
শুক্রবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের এজলাসে মামলার রায় স্পষ্ট হয়ে যায় যে এই চাকরিপ্রার্থীদের দাবি ন্যায্য।OMR শিট যাচাই করে এসএসসি মামলাকারীদেরএক নম্বর বাড়ানোর নির্দেশ দেন।এবং প্রাপ্ত নম্বর পাওয়ার পর তাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে এসএসসি কে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।