Date : 2024-04-25

ফোনেই সমাধান বাতলাবেন কাউন্সিলর। ফেসবুকে ফোন নম্বর শেয়ার।

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : দিদির দেখানো পথে হেঁটেছেন অভিষেক। এবার অভিষেকের দেখানো পথে হাঁটলেন কলকাতার এক তৃণমূল কাউন্সিলর। ফেসবুকে নিজের প্রোফাইলে ফোন নম্বর শেয়ার করে জানালেন তাঁর ওয়ার্ডে এক ফোনেই সব সমস্যার সমাধান করবেন তিনি। তিনি কলকাতা পুরসভার ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রবীর কুমার মুখোপাধ্যায়।

২০১৯ সালে “দিদি কে বলো” কর্মসূচি শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যাপক সাড়া পড়েছিলো এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে। মানুষ তার নিজেদের সমস্যা যাতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে পারেন তার জন্য একেবারে সাংবাদিক সম্মেলন করে ফোন নম্বর জানিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। এমনকি খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন‌ও দেওয়া হয়েছিলো। দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছিলো ৯১৩৭০৯১৩৭০ এই নম্বরটি। বিরোধীরা এটা নিয়ে সরকার ও শাসক দলকে কটাক্ষ করলেও সরকারি হিসাবে শুধু প্রথম মাসেই প্রায় দশ লক্ষ মানুষ এই নম্বরে ফোন করে নিজেদের অভাব অভিযোগের কথা জানিয়েছিলেন। ২০১৯ এর মতো না হলেও কতকটা সেই ধাঁচেই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গত বছর জুন মাসে পৈলান এর এক জনসভা থেকে “এক ডাকে অভিষেক” নামে একটি কর্মসূচির সূচনা করেছিলেন।

প্রাথমিকভাবে এই কর্মসূচি শুধুমাত্র তাঁর লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারের জন্য চালু করলেও পরবর্তীতে সারা রাজ্যের জন্য‌ই এই কর্মসূচি চালু হয়ে গিয়েছিলো। কারণ “এক ডাকে অভিষেক”-র জন্য ৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭ এই ফোন নম্বরে সারা রাজ্য থেকেই ফোন আসতে থাকে। সেখানে একদিকে যেমন অভাব; অভিযোগ জমা হচ্ছিল, তেমনি দলের স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জমা পড়ছিলো। কিছুদিন আগে এমনই এক অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার পর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এক পঞ্চায়েত প্রধানকে পদত্যাগ পর্যন্ত করতে হয়। এদিকে কলকাতা পুরসভার ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রবীর মুখোপাধ্যায় তাঁর ফেসবুক পেজে একটি ছবি শেয়ার করছেন বৃহস্পতিবার বিকালে। “এক ফোনেই সমাধান” শীর্ষক এই পোষ্টে তিনি একটি ফোন নম্বর দিয়েছেন। ফোন নম্বরটি হলো ৯৪৭৭৫০৭০৭৮। এই বিষয়ে জানতে চাইলে এই তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, “আমাদের নেত্রী শিখিয়েছেন সব সময় মানুষের পাশে থাকতে।

তাই একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে এটা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।” কিন্তু জনপ্রতিনিধি মানেই তো তাঁকে মানুষের কাজ করতে হয়। এটাই তো স্বাভাবিক। তবে তার জন্য এইভাবে আলাদা করে প্রচার করতে হবে কেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রবীরবাবু বলেন, “অবশ্যই আমরা সেই কাজ করবো ও করছি। কিন্তু অনেক সময় হয়তো আমি কোনো মিটিং বা অন্য কোনো কাজে ব্যস্ত আছি। সেই সময় আমাকে ফোনে না পেয়ে আমার ওয়ার্ডের কোনো মানুষ যদি অসুবিধায় পড়েন, সেটা কখনোই কাম্য নয়।

তাই এই ফোন নম্বর আলাদা করে শেয়ার করা। এই নম্বরটা একদমই ডেডিকেটেড থাকছে শুধু এই কাজের জন্য। প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা, সপ্তাহে সাতদিন।” এক ফোনে সমাধানের জন্য কত সময় লাগতে পারে ? প্রবীর মুখোপাধ্যায়ের উত্তর, “সেটা তো নির্ভর করছে সমস্যার চরিত্রের উপর। তবে আমার চেষ্টা থাকবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মানুষের ভার লাঘব করা।”