ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক :- বীরভূমের খাদান ও পাথরের লরি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার আদায়ের অর্থ সরকারের ঘরে জমা পড়ছে না। অভিযোগ রামপুরহাট পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপিতা সঞ্জীব মল্লিক। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ অবিলম্বে এই বিষয়ে আবেদনকারীকে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেলকে নোটিশ দিয়ে জানাতে হবে। সোমবার মামলার শুনানি গ্রহণ করবে হাইকোর্ট।
আবেদনকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, মুরারই, রামপুরহাট, মহম্মদ বাজার ও নলহাটি সহ বীরভূম জেলার ৬ টি জায়গা থেকে একটি নির্দিষ্ট কার্বন স্লিপ এর মাধ্যমে লরি ড্রাইভারদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হয়। সম্পূর্ণ ক্যাশে এই অর্থ আদায় করা হয়ে থাকে। ওই স্লিপ সরকারিভাবে দেওয়া হলেও প্রকৃতভাবে আদায়কৃত অর্থ সরকারের ঘরে জমা পড়ে না। কারণ ওই স্লিপটি সম্পূর্ণ নকল।
আবেদনকারীর দাবি এই অর্থ আদায় নিয়ে পূর্বে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বকটুইয়ের ঘটনা তার অন্যতম উদাহরণ। ইতিমধ্যে সিবিআই ও ই ডি ঘটনার তদন্ত করছে। বকটুইয়ের ঘটনার পর থেকে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও পুনরায় সেই অর্থ আদায়ের কাজ শুরু হয়েছে।
আবেদনকারীর আরো অভিযোগ প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩.৫ কোটি টাকা ক্যাশ অর্থ আদায় হয়ে থাকে। কিন্তু সেই অর্থ কোন ভাবেই রাজ্যের কোষাগারে জমা পড়ে না। এটি একটি অর্থনৈতিক বেআইনি লেনদেন। আদালত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানান এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের বক্তব্য শোনা বিশেষ জরুরী। তাই আবেদনকারী কে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কে নোটিশ দিতে হবে। আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি গ্রহণ করা হবে।