ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : মেধাদের ক্ষেত্রে নীরব কেন এসএসসি! আপনাদের অবস্থান স্পষ্ট করছেন না কেন? প্রশ্ন বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের। এসএসসির নবম দশম একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে। বহু শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। অনেক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের পথে।
এসএসসির মেধা তালিকায় উপরের দিকে থাকা চাকরি প্রার্থীদের বিষয় তাদের অবস্থান কি তা আগামী ২৩ শে মার্চের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।
২০১৬ সালের ২৭শে নভেম্বর নবম দশম একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে ১৭হাজার শূন্যপদে বাংলা, এডুকেশন এবং ভূগোল বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন।
মামলাকারীদের অভিযোগ পরীক্ষার যে মেধা তালিকা স্কুল সার্ভিস কমিশন যে মেধা তালিকা প্রকাশ করেছিল সেখানে তাদের নাম ওপর দিকে থাকা সত্ত্বেও তাদের চাকরি দেওয়া হয়নি অথচ যাদের নাম মেধা তালিকায় নিচের দিকে ছিল তারা বহাল তবিয়তে চাকরি করছিলেন।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এ জেলা সে এই নবম দশম একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণে জেরে এই ধরনের নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের চাকরি কেড়ে নিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এই ধরনের বৈষম্য বা অবৈধ নিয়োগের জন্য আজও যারা যোগ্য প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও তাদের অবস্থান ও ভবিষ্যৎ আজ প্রশ্নচিহ্নের মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার মামলাকারি স্বাগতা বিশ্বাস, মামনি বসাক, ও মৌসুমী মন্ডল সহ ১০ জনের পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতে জানান যে স্কুল সার্ভিস কমিশন তারা নিয়োগ সংক্রান্ত রুল না মেনেই বহু বেআইনিভাবে শিক্ষক নিয়োগ করেছেন তারা। এবং অন্যান্য এজলাসের স্কুল সার্ভিস কমিশন তাদের ভুল স্বীকারও করলেও যারা যোগ্য থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন সেই সমস্ত মামলাকারী তাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোন পদক্ষেপ এসএসসি নিচ্ছেন না।
বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে জানতে চান এই ইস্যুতে যদি কম নাম্বার প্রাপ্ত কাউকে যদি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়ে থাকে তাহলে। যারা যোগ্য চাকুরীপ্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাদের বিষয় স্কুল সার্ভিস কমিশন এর অবস্থান কি আগামী ২৩ শে মার্চের মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে তাদের অবস্থান জানাতে হবে।
আগামী ৩০ শে মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি।