শনিবার আইএসএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ এটিকে মোহনবাগানের। এই ম্যাচই কার্যত নিশ্চিত করে দিতে পারে আইএসএলের প্লে অফে বাগান যাবে কিনা। হোম ম্যাচে বাগানের প্রতিপক্ষ কেরল ব্লাস্টার্স। যারা এই মূহূর্তে লিগ টেবিলে মোহনবাগানের থেকে এগিয়ে রয়েছে। পয়েন্টে এগিয়ে থাকলেও গোল পার্থক্যে অবশ্য পিছিয়েই রয়েছে কেরল। ফলে আওয়ে ম্যাচে কেরল পয়েন্ট কাড়লেই প্লে অফের পথ কঠিন হয়ে যাবে সবুজ মেরুনের। কারণ পরের ম্যাচই ডার্বি। বাগানের পয়েন্ট এই মূহূর্তে 18 ম্যাচে 28। এদিকে গোয়ার পয়েন্ট 19 ম্যাচে 27। ওড়িশার পয়েন্ট 18 ম্যাচে 27। ফলে এই ম্যাচ জুয়ান ফেরান্দো চাইবেন তিন পয়েন্ট পেয়ে এগিয়ে যেতে। কারণ ডার্বি ম্যাচ সব সময়ই ফিফটি ফিফটি হয়। শেষ তিন ম্যাচেই জয় অধরা রয়েছে প্রীতম,শুভাশিসদের। এর মধ্যে রয়েছে দুই ম্যাচে হার। হুগো বোমাসের চোট যে বড় ফ্যক্টর হয়ে গেল তা বুঝছেন জুয়ান। আক্রমনে কিভাবে দিমিত্রি পেত্রাতোস সাপোর্ট পাবেন সেদিকেই কেরল ম্যাচের আগে বেশি জোর দিচ্ছেন বাগান কোচ। কারণ গোল অবদি বারবার পৌঁছে যাচ্ছেন ফেরান্দো। তবে আক্রমনে বারবার তাকে বড্ড অসহায় লাগছে। মনবির, লিস্টনরাও একক নৈপুন্যে খুব বেশি নজর কাড়তে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে আইএসএলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই ম্যাচে নামছে বাগান। গত ম্যাচে ছক পরিবর্তন করে আশিস রাইকে উইংয়ে খেলিছিলেন জুয়ান। তবে আক্রমন তাতে ডানা বাঁধেনি। এই ম্যাচে ডিফেন্স আঁটোসাটো করেই মাঠে নামবে বাগান। যাতে কোনওভাবেই গোল না খায়। কারণ ম্যাচ হারলে কাজটা কার্যত অসমভব হয়ে যাবে। ফেডেরিকো গালেগোকে দিমিত্রির পিছনে উইদ্রল হিসেবে খেলাতে পারেন জুয়ান। এখন দেখার শনিবাসরিয় সন্ধ্যয়া যুবভারতীতে ফুল ফোটাতে পারেন কিনা মোহনবাগান ফুটবলাররা।
Facebook
Instagram
Twitter

Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.