Date : 2024-03-29

“এত ক্যাজুয়াল অ্যাপ্রোচ যদি প্রধান শিক্ষদের হয়, তার ফল শুধু কেনো অবসর প্রাপ্তরা ভুগবেন। এবার থেকে এমন ক্ষেত্রে ডি আইরা অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিভাগীয় পদক্ষেপ করবেন : হাইকোর্ট

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,সাংবাদিক : বহু প্রধান শিক্ষকের গাফিলতিতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন না। সেই সব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। জেলা স্কুল পরিদর্শকদের মৌখিক নির্দেশ বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার।*

যদি কোনো স্কুল, শিক্ষকদের অবসর কালীন সুযোগ দিতে দেরি করে বা সেটা নিয়ে গড়িমসি করে, এবার থেকে সেই স্কুলের প্রধানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ করবে বোর্ড। বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ।

বিচারপতি মান্থার এজলাসে আদালত অবমাননার বিভিন্ন মামলা চলাকালে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের উদাসীনতায় অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক বা শিক্ষা কর্মীরা ভুগছেন।

বিচারপতির মন্তব্য, “এত ক্যাজুয়াল অ্যাপ্রোচ যদি প্রধান শিক্ষদের হয়, তার ফল শুধু কেনো অবসর প্রাপ্তরা ভুগবেন। এবার থেকে এমন ক্ষেত্রে ডি আইরা অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিভাগীয় পদক্ষেপ করবেন। না হলে এই প্রবণতা বন্ধ হচ্ছে না। শিক্ষক বা শিক্ষা কর্মীরা যখন বছরের পর বছর সার্ভিস দিচ্ছে, তাদের সার্ভিস নেওয়া হচ্ছে তখন খেয়াল থাকছে না! “

হাওড়ার এক স্কুলের শিক্ষা কর্মী অবসরের দু বছর পরেও তার প্রভিশনাল পেনসান চালু না হাওয়ায় প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্ট।

উলেখ্য। গত শুক্রবার বিচারপতি মান্থা মন্তব্য করেছিলেন, “শিক্ষকদের বকেয়া পেতে কেনো এত দেরি। শিক্ষকদের ক্ষেত্রে সরকারকে আরও সচেতন হওয়া উচিত। শিক্ষকরা শিক্ষাদান করেন। এটা তাদের নোবেল কাজ। তাই তাদের অবসরের পর পাওনা আর্থিক সুবিধা পেতে বিলম্ব ! খুবই দুঃখ জনক। এই বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
কি করছেন আপনারা। আপনাদের এই ব্যুরক্রশিকে আদালত মানতে নারাজ। আপনাদের সরকারি বিভিন্ন বিভাগের ফাইল স্থানাতরের জন্য শিক্ষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন না।”

এদিনও বিচারপতির নির্দেশে বহু শিক্ষকই তাদের বকেয়া আর্থিক পাওনা দ্রুত পাওয়ার আশ্বাস পেলেন। আদালতের নির্দেশে বিদ্যালয় পরিদর্শক ও প্রধান শিক্ষকরা সেই আশ্বাস দিলেন আদালতে।