Date : 2024-04-19

বিচার থেকে বঞ্চিত বিচারপ্রার্থীরা ! বিচারক নিয়োগে অনীহা কেন রাজ্য সরকারের প্রশ্ন তুললো ডিভিশন বেঞ্চ।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : বিচাপতিদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন তোলে রাজ্য সরকার, নিজের রাজ্যে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যের অনীহা কেন প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন।

রাজ্যের উত্তর জানতে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে সল্প সময় বেধে দিলেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।

প্রসঙ্গত, ওয়েস্ট বেঙ্গল কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য ২০১৮সালে রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সেখানে শূন্যপদ ৫৭০২। যেখানে সিভিক ভলেনটিয়ার এবং এন ভিএফে(হোম গার্ড) (NVF) র জন্য সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ ছিল। কিন্ত এই নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ পলিশিকে মান্যতা না দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করে।

২০১৯ সালেসিভিক ভালেন্টিয়ার এবং হোমগার্ডরা নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে স্টেট অ্যাডমিনি্ট্রেটিভ ট্রাই্যুনালে(SAT) মামলা দায়ের করেন। স্যাটে মামলা চলাকালীন বার বার পক্ষে বিপক্ষে হলফনামার নির্দেশ প্রেক্ষিতে শুনানি বিলম্ব হয়ে যায়। এরই মধ্যে ২০২২সালের জুলাই মাসে স্যাটের চেয়ারম্যান কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি সৌমিত্র পাল অবসর গ্রহণ করেন।

স্যাটের চেয়ারম্যান অবসর গ্রহণ করার পর থেকে আজও কোন চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ হয়নি। যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ মামলা শুনানি করা সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কর্ম ক্ষেত্রে সুবিধা অসুবিধে যাবতীয় সংক্রান্ত মামলার সূরা পাওয়া যায় স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে। কিন্তু টিট এডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে কোন ডিভিশন বেঞ্চ না থাকায় সরকারি কর্মচারীদের নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার শুনানি গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে মামলাকার ী জাহাঙ্গীর আলী সহ বেশ কয়েকজন মামলাকারী তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে এই মামলায় তলব করা হয়েছিল ।রাজ্য সরকারের ভূমিকা জানতে চেয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ । কিন্তু এখনো পর্যন্ত রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোন সদউত্তর পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি পর্বে মামলাকারী জাহাঙ্গীর আলীর সহ অন্যান্যদের পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতে জানান মামলাকারীরা যোগ্য প্রার্থী হওয়া সত্বেও তাদের আবেদন দীর্ঘদিন শুনানি হচ্ছে না। শুধু মাত্র স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রে ট্রাইব্যুনালে কোন চেয়ারম্যান না থাকার কারণে। পাশাপাশি তিনি এও জানান বিচার প্রার্থীরা দিনের পর দিন বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । আমি হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানাচ্ছি অবিলম্বে এ বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করুন চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষেত্রে।

ডিভিশন বেঞ্চ এদিন নির্দেশ দেন আগামীকাল শুক্রবার সকালে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেল কে রিপোর্ট আকারে জানাতে হবে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান নিয়োগের সুপারিশ আদৌ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতির কাছে করা হয়েছে কিনা।

আগামীকাল শুক্রবার মামলার শুনানি।