Date : 2024-04-25

পড়ুয়াদের বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে প্রদর্শনী।

নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : করোনা আবহ কাটিয়ে ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে মানবজীবন। ছন্দে ফিরেছে স্কুল- কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়। দু’বছর করোনার জন্য গৃহবন্দী হয়ে পড়েছিল ছাত্র জীবন। তবে এবার স্বাভাবিকের পথে। স্কুলে স্কুলে চলছে নানাবিধ প্রদর্শনী। পড়ুয়াদের মেধা বৃদ্ধি ও সচেতনতা বাড়াতে করতেই স্কুলগুলি তরফ থেকে আয়োজন করা হচ্ছে বিজ্ঞান ও শিল্পভিত্তিক প্রদর্শনী। দমদম শ্রী অরবিন্দ বিদ্যামন্দির স্কুলে দুদিন ব্যাপি এমনই এক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

পড়ুয়াদের মেধা কিভাবে বিকাশ পাবে তা নিয়ে প্রায়শ নানাবিধ পদ্ধতি অবলম্বন করেন দমদম শ্রী অরবিন্দ বিদ্যামন্দির স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। করোনা আবহে বছর দুই গৃহবন্দি থাকায় অনেক পড়ুয়ারি পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ কমেছে। পড়ুয়াদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল নিজেদের মত করে আয়োজন করছেন নানাবিধ অনুষ্ঠান। শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকেও পড়ুয়াদের চেতনা জাগ্রত ও উৎসাহ বাড়াতে অনুষ্ঠান বা পদ্ধতি অবলম্বন করার কথা বলা হয়েছে। পড়ুয়াদের মেধা কিভাবে বিকাশ পাবে তা নিয়ে প্রায়শ নানাবিধ পদ্ধতি অবলম্বন করেন দমদম শ্রী অরবিন্দ বিদ্যামন্দির স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। এবার আয়োজন করা হয়েছিল বিজ্ঞান ও শিল্প ভিত্তিক প্রদর্শনীর।বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা বিজ্ঞানের অত্যাধুনিক সব মডেল তৈরি করে এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে। নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞানমুখী করতে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

শুধুমাত্র পুঁথিগত বিদ্যা নয়। কর্মমুখী শিক্ষাও বর্তমানে জরুরি বলে মত শিক্ষকমহলের। বইয়ের পাতায় যেটা পড়ছে পড়ুয়ারা সেটা হাতে কলমে শেখাও প্রয়োজন। বিজ্ঞানকে খেলার ছলে পড়ুয়াদের কাছে আরও বেশি জনপ্রিয় করে তোলার জন্যই এই প্রদর্শনীর আয়োজন। বিজ্ঞানের প্রতি পড়ুয়াদের আগ্রহ ও চিন্তাভাবনার প্রসার বাড়াতেই দমদম শ্রী অরবিন্দ বিদ্যামন্দির স্কুলে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। বইতে পড়া জিনিস নিজেরা হাতে কলমে করতে পেরে খুশি পড়ুয়ারা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার নন্দ জানান, বিদ্যালয়ে দুদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও শিল্প প্রদর্শনীতে বিপুল সাড়া মিলেছে, বিদ্যালয়ের বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্র- ছাত্রী ও অভিভাবক অভিভাবিকাদের মধ্যেও প্রদর্শনী দেখার উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়গুলির শিক্ষক শিক্ষিকারা তাঁদের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে প্রদর্শনী দেখে গেলেন, যা সত্যি উৎসাহব্যঞ্জক।