অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চতুর্থ টেস্টে বল হাতে জোলে উঠলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। স্রেফ ভাঙা পিচে নয়, অশ্বিনের ভেল্কি যে সব সময় সব ধরনের পিচেই চলে সেটাই আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন এই তারকা অলরাউন্ডার। একাই নিলেন 6টি উইকেট। এর মধ্যে রয়েছে শতরান করা ক্যামেরন গ্রিন,ট্রাভিস হেড, বলেক্স ক্যারির মতো গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। পরিস্থিতি যা তাতে তৃতীয় দিনই এই টেস্টের নির্ণায়ক হতে পারে। কারণ দ্বিতীয় দিনে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস শেষ হয় 480 রানে। এই টেস্টের উইকেট স্পোর্টিং। ফলে হঠাৎ করে পিচে টার্ন এসে সব উইকেট পড়ে যাওয়ার সমভাবনা কম। তৃতীয় বা চতুর্থ ইনিংসে বল ঘুরবে। তাই ভারত যদি তৃতীয় দিনের প্রথম ইনিংসে বড় রান করে ফেলতে পারে, তাহলে ম্যাচের ভাগ্য ড্রয়ের দিকে যাবে। সেক্ষেত্রে সিরিজ 2-1 ফলাফলে জিতে গেলে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাবে ভারতের। কিন্তু ম্যাচ হারা মানেই কাজটা কঠিন হয়ে যাবে বিরাটদের। কারণ সেক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড সিরিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে দলকে। ফলে ভারতের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার ভাগ্য আপাতত ঝুলছে ভারতীয় ব্যাটারদেরই হাতে। প্রথম ইনিংসে অশ্বিনের পাশাপাশি মহম্মদ শামিও নেন দুটি উইকেট। বল হাতে অবশ্য মাত্র একটি করে উইকেট নেন দুই লেফট আর্ম স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা এবং অক্ষর প্যাটেল। ব্যাট হাতে তাই তাদের জোলে ওঠার অপেক্ষায় টিম ইন্ডিয়া। শেষ দিকে টড মার্ফির 41 রান এবং নাথান লিয়ঁর 34 রানের ইনিংস না থাকলে অজিদের রান 480 পর্যন্ত যেতে পারল না। বিশাল রানের পাহার তাড়া করতে নেমে আপাতত 400 রানের গন্ডি টপকানোই প্রধান কাজ হতে চলেছে ভারতের। সেক্ষেত্রে চতুর্থ দিন পর্যন্ত ম্যাচ সময় কাটিয়ে দেওয়া যাবে, একইসঙ্গে অজিদেরও পাল্টা ব্যাট করতে পাঠানো যাবে। এখন দেখার সব অঙ্ক মিলিয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের রাস্তা খোলা রাখতে পারে কিনা রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় ক্রিকেট দল।