শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক :- ঘাম শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যা শরীরের তাপ বের করে দেয়। এতে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় থাকে। আমাদের ত্বকে থাকে ঘর্ম গ্রন্থি আছে। যেখান থেকে ঘাম বের হয়। ঋতু অনুযায়ী ঘাম কম বেশি হয়। যেমন গরমকালে ঘাম বেশি হয়। শীতকালে ঘাম কম হয়। আবার বেশি শীত পড়লে ঘাম হয়না। এছাড়া টেনশন থাকলে ঘাম হয়। গরম কিছু খেতে গেলে ঘাম হয়। বেশি পরিশ্রম করলে ঘাম হয়। মাত্রাঅতিরিক্ত ঘাম হচ্ছে কি না সেটা দেখতে হবে। সেটা বোঝার উপায় হলো, আপনি যেভাবে ঘামছেন, আপনার আশেপাশের লোকেরা ঘামছে কি না দেখুন। মাত্রা অতিরিক্ত ঘাম রোগের পূর্বাভাস দেয়।
মাত্রা অতিরিক্ত ঘাম কি অসুস্থতার লক্ষণ – সেটা বুঝবেন কি করে।
কি কি কারণে অতিরিক্ত ঘাম হয় :-
১. ব্লাড প্রেসার বাড়লে অতিরিক্ত ঘাম হয়
২. ব্লাড সুগার কমলেও অতিরিক্ত ঘাম হয়ে থাকে
৩. থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা বাড়লে ঘাম হবে
৪.জর বা জীবাণু সংক্রমণ হলে
৫. হার্ট ফেলিওর হলে ঘাম হয়
৬. স্ট্রোক হলে ঘাম হবে
৭. ক্যান্সার হলে ঘাম হয়
রোগ নির্ণয় করার উপায় :-
১. ব্লাড প্রেসার চেক করুন। সকাল, বিকেল, রাতে ব্লাড প্রেসার চেক করুন যে মানুষটি উচ্চ রক্ত চাপ এ ভুগছে কি না।
২. ব্লাড সুগার চেক করা দরকার। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ৭০ এর নিচে থাকলে অস্বাভাবিক ঘাম হতে পারে।
৩. খিদে বেড়েছে কিন্তু ওজন কমছে কি না সেটা দেখা প্রয়োজন। কারণ থাইরয়েড এর উপসর্গ।
৪. খিদে ও ওজন কমলে তাহলে ক্যান্সার লক্ষণ।
৫. হার্ট ইসিজি করুন। হার্ট চেক করুন চিকিৎসক দের কাছে।
অতিরিক্ত ঘাম হলে অবশ্যই চিকিৎসকদের পরামর্শ নেবেন। নিজের থেকে কিছু করতে যাবেন না। সব সময় চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলবেন।