Date : 2024-04-20

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিকের উপর হামলার ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট করলো হাইকোর্ট।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক ঃ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের উপর হামলার ঘটনায় রাজ্যের রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
ঘটনার পর রাজ্য কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে তা সমস্ত জানাতে নির্দেশ।একইসঙ্গে কেস ডাইরি জমা দেওয়ার নির্দেশ।

মামলাকারীর শুভেন্দু অধিকারীর তরফে সৌম্য মজুমদার – রাজ্যের শাসক দলের সমর্থকরা নিশীথ প্রামাণিকের উপর আক্রমণ করে লাঠি ইঁট ছোঁড়া হয়।
উস্কানি দিয়ে তার উপর আক্রমণ করতে প্ররোচনা দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর উপর পূর্ব পরিকল্পনা অনুয়ায়ী এই আক্রমণ করা হয়। ভোট পরবর্তী হিংসার দিন আবার ফিরে আসুক রাজ্যে সেটা আমরা চাইনা। এই রকম ঘটতে পারে যখন অনুমান ছিল। তার সত্তেও পুলিশ কিছু করেনি।মানে পুলিশ নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে ব্যার্থ।সেই জন্য অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তার নির্দেশ দিক আদালত। এবং এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত করা হোক।

কেন্দ্রের তরফে অশোক চক্রবর্তী – কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জন্য একটা প্রটোকল থাকে। জেলা পুলিশ সেই প্রটোকল কিছু মানে নি।প্রয়োজনে কেন্দ্র প্যারামিলিটারি ফোর্স দিতেই পারে।

সিবিআই ধীরজ ত্রিবেদী – সিয়াইএসেফ প্রাথমিক ভাবে এফয়াইয়ার করেছে বলে আমরা জেনেছি। সিবিয়াইকে নির্দেশ দিলে তারা প্রাথমিক অনুসন্ধান করতেই পারে। আদালতকে রিপোর্ট দিতে পারে।

এজি- সিয়াইএসএফ অভিযোগ দায়ের করেছে ইতিমধ্যে সায়েবগঞ্জ থানায়। দুদিনের মধ্যে রাজ্য রিপোর্ট দেবে এই ব্যাপারে।

অশোক চক্রবর্তী – রাজ্য প্রশাসন এই সন্ত্রাস চালিয়েছে। রাজ্যকে রিপোর্ট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।আদালত নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করুক এ ব্যাপারে।

রাজ্যের এজি – একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল, একজন ব্যক্তি(উদয়ন গুহ) তার সাঙ্গপাঙ্গরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। কিন্তু যে ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন তিনি একটা কথা ও আদালতে বলেন নি।সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন দুদলের সমর্থকদের মধ্যেকার সমস্যা।এখানে জনস্বার্থের কোনো বিষয় নেই।রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত মামলা। দু’পক্ষই রাজনৈতিক বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে সমস্যা সৃষ্টি করেছে।কোনো এক পক্ষের দোষে এই ঘটনা নয়। প্রায় ৭ কিলোমিটার আগে থেকে পুরো এলাকা ব্যারিকেড করে ঘেরা ছিল।

মোটেও রাজ্যের মদতে এই হিংসার ঘটনা ঘটেনি।এই ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে।দুদিন সময় দেওয়া হোক।

ধীরজ ত্রিবেদী(সিবিআই) – কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপর আক্রমণ হয়েছে এটাই সত্য।পুলিশের কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহযোগিতা লাগবে কিনা সেটার থেকে বড় বিষয় হচ্ছে হামলার ঘটনা ঘটেছে ।এই ঘটনার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। একজন মন্ত্রীর উপর আক্রমণের গভীর প্রভাব পড়ে জনমানসে। নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া দরকার।

প্রধান বিচারপতি – কিন্তু তদন্ত হস্তান্তর করতে গেলে তার প্রমান দিতে হয়।কেন আদালত তা করবে তার যথাযথ নথি আদালতকে দিন!

অশোক চক্রবর্তী – রাজ্য প্রশাসন নিরব ছিল। আদালত ও ক্ষমতাহীন নয়।আদালতের নিজের শক্তি প্রয়োগ করা উচিত।

সৌম্য মজুমদার – রাজ্য আক্রমনের ঘটনা তারমানে অস্বীকার করছে না।
রাজনৈতিক ঝামেলা মানে নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই? নিরাপত্তার বিষয় গুরুত্বহীন নয় নিশ্চয়।রাজ্য পুলিশ কি করছিল?