Date : 2024-04-25

গান্ধী_আরউইন চুক্তি কখন সম্পাদিত হয়? সঠিক উত্তরই অজানা এসএসসির। সেই উত্তর জানতে এসএসসির সময় লাগলো ৫ বছর।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : “কথায় আছে কারোর পৌষ মাস আর কারোর সর্বনাশ”
OMR প্রকাশ হতেই কারোর চাকরি বাতিল হলো, আবার অনেকের চাকরি পাওয়ার সুযোগ হয়ে গেল।

প্রশ্নের ভুল উত্তর দিয়ে যারা চাকরি করছেন তাদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চয়তার মুখে।২০১৬ সালের নবম দশম শ্রেণীর এসএলএসটি নিয়োগে ব্যাপক হারে দুর্নীতি হয়েছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই। শুধু তাই নয় যে ওএমআর শিট কারচুপি করা হয়েছিল সেটাও প্রকাশ করা নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। আর সেই ওএমআর শিট প্রকাশ পেতেই বহু অজানা তথ্য বেরিয়ে এলো। যার সাথে বেরিয়ে এলো স্কুল সার্ভিস কমিশনের চতুরতাও।

২০১৬ সালের নবম দশম শ্রেণীর এসএলএসটির ইতিহাস বিষয়ে একটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েও স্কুল সার্ভিস কমিশন চাকরিপ্রার্থীদের অতিরিক্ত এক নম্বর দেয়নি বলে অভিযোগ। বাইশে ডিসেম্বর ২০২২ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন হাইকোর্টের নির্দেশে ও এম আর সিট প্রকাশ করে। আবেদনকারীরা তারা দেখতে পান যে তারা যে প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েছিল তাতে স্কুল সার্ভিস কমিশন এক নম্বর তাদেরকে দেয়নি যে কারণে তারা চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার পরেও তাদের এই এক নম্বর না দেওয়ায় তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

মঙ্গলবার মামলার শুনানি চলাকালীন আবেদনকারী প্রকাশ মন্ডল, জিন্নাত শেখ এবং জিয়াতুল্লাহ ফেরদৌসের পক্ষে আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতে জানান স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রশ্ন ছিল
“গান্ধী আরউইন চুক্তি কখন সম্পাদিত হয়?”এ,বি,সি,ডি চারটি উত্তর দেওয়া ছিল। মামলাকারীরা উত্তর দিয়েছিলেন গান্ধী আরউইন চুক্তি সম্পাদিত হয় মার্চ ১৯৩১ সালে। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশন জানায় মামলাকারীরা ভুল উত্তর দিয়েছে। এসএসসি জানায় সঠিক উত্তর হল মে ১৯৩১সালে। স্কুল সার্ভিস কমিশন তারা কখনই মানতে চাননি যে মামলাকারীরা সঠিক উত্তর দিয়েছেন। মামলা কারীরা সঠিক উত্তর দিয়েও তারা এক নম্বর পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

আইনজীবী আরও দাবি করেন ও এম আর সিট প্রকাশ হওয়ার পরেই মামলাকারীরা জানতে পারেন তারা সঠিক উত্তরই দিয়েছিলেন। স্বপক্ষে আদালতে একাধিক বই তুলে ধরেন তিনি। তিনি আরও জানান স্কুল সার্ভিস কমিশন চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনেক অদল বদল হতে পারে, কারণ যদি এক নম্বর বেড়ে যায়, তাহলে চাকরি প্রার্থীরা কাউন্সিলিংয়ের সুযোগ পাবেন । কিন্তু এসএসসি এই উত্তরের জন্য যদি এক নম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগেই দিত তাহলে অনেকেই তারা বাড়ির কাছেই পছন্দমত স্কুলে তারা চাকরি পেতে পারতেন। এবং যোগ্য প্রার্থী হয়েও নিয়োগ থেকে পাঁচ বছর পিছিয়ে পড়তেন না।

মহামান্য বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দেন মামলাকারীরা অতিরিক্ত এক নম্বর পাওয়ার যোগ্য। এবং এক নম্বর বাড়িয়ে যদি তারা নিয়োগের জন্য বিবেচিত হয় অবশ্যই তাদের নিয়োগ করতে হবে।