Date : 2024-04-19

ফের নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগ! একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে বিস্ময় প্রকাশ বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : ২০১৬ সালের একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির এস এল এস টি র বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ হয় জুলাই ২০১৮ সালে। ফিলজাফি পোস্ট গ্রাজয়েটের শূন্যপদ ৬৫০।এসএসসি লিখিত পরীক্ষার পর একটি উত্তরপত্র প্রকাশ করে। সেখানে দুটি প্রশ্নের উত্তর সঠিক ছিল। কিন্ত এসএসসি পরবর্তী সময়ে ওই দুটি প্রশ্নের উত্তর বদল করে। তবে সেই উত্তরপত্রটি এসএসসি প্রকাশ করেনি বলে অভিযোগ। পরবর্তীকালে ও এম আর থেকে মামলাকারীটা জানতে পারে যে তারা সঠিক উত্তর দেওয়া সত্ত্বেও তাদের দু’নম্বর দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
তখন আবেদনকারী তথ্যের অধিকার আইনে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে জানতে চায। উত্তরে এসএসসি একটি উত্তরপত্র পাঠায়। যেখানে ওই দুটি উত্তরপত্র বদল করা হয়েছে অথচ ওই দুটি উত্তরের সাথে প্রশ্নের কোন মিল ছিল না।। কারণ মামলাকারীরা যে উত্তরটি দিয়েছিল সেগুলো বিভিন্ন বইয়ে উল্লেখ আছে এবং শুধু তাই নয় বইগুলি ভারতীয় এবং বিদেশী লেখক এর লেখা। এসএসসির আরটিআর উত্তরের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মামলাকারী।

বৃহস্পতিবার মামলাকারীর আরিফ শেখ এর পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতে দেখান স্কুল সার্ভিস কমিশন এর প্রকাশিত উত্তরপত্র এবং অপ্রকাশিত উত্তরপত্র। এখানে প্রকাশিত উত্তরপত্রের দুটি উত্তরই সঠিক কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশন তার অপ্রকাশিত উত্তরপত্রের বেআইনিভাবে বদল করেছে। এবং তার স্বপক্ষে আইনজীবী বিভিন্ন লেখকের বই আদালতে তুলে ধরেন

এসএসসির পক্ষে আইনজীবী ডাক্তার সুতানু পাত্র জানান বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই উত্তর পত্রটি বদল করা হয়েছে। কিন্তু যে বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হয় সেখানে ওই দুটি প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেনি। সুতরাং উত্তর-পত্র পরিবর্তন করার কোন প্রয়োজন নেই। মামলাকারীর আইনজীবী আরও জানান যেহেতু প্রকাশিত উত্তরপত্রের উত্তর দুটি সঠিক ছিল সেখানে ওই দুটি প্রশ্নের উত্তরের পরিবর্তনের জন্য কোন প্রার্থী অভিযোগ করতেই পারেন না।।

বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে জানতে চায় যে তারা যে দুটি প্রশ্নের উত্তরের পরিবর্তন করেছে কার অভিযোগের ভিত্তিতে? এবং কোন বিশেষজ্ঞ কমিটি উত্তর দুটি ভুল বলে রিপোর্ট দিয়েছে?

বিচারপতি নির্দেশ দেন কাদের অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তরপত্র বদল করা হলো এবং কাদের নির্দেশে সঠিক উত্তরের জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে পাঠানো হলো এবং বিশেষজ্ঞ কমিটি ঠিক কি রিপোর্ট দিয়েছিল তা আগামী ১৬ই এপ্রিলের মধ্যে ফলকনামা আকারে জমা দিতে হবে।