Date : 2024-04-25

বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে আইএসএলের প্লে অফ ম্যাচ

বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে আইএসএলের প্লে অফ ম্যাচ। বেঙ্গালুরু এফসি বনাম কেরল ব্লাস্টার্স ম্যাচে সুনীল ছেত্রীর ফ্রি কিক গোলের কারণে বিতর্ক। ম্যাচের 97 মিনিটে ফ্রি কিক পায় বেঙ্গালুরু এফসি দল। সেই ফ্রি কিক থেকেই গোল করেন সুনীল ছেত্রী। যদিও কেরল ফুটবলারদের দাবি ছিল, তারা প্রস্তুত ছিলেন না সুনীলের ফ্রি কিকের সময়। তারা দাবি করেন, রেফারিও বাঁশি বাজাননি। কেরল ফুটবলাররা এও দাবি করেন, যে তারা ফ্রি কিকের সামনে ওয়াল বানানোর সময় টুকুও পাননি। প্রতিবাদ জানালেও রেফারি তাতে কর্ণপাত না করায় ম্যাচ চলাকালীনই প্রতিবাদ দেখিয়ে মাঠ থেকে দল তুলে নেয় কেরল ব্লাস্টার্স দল। আইএসএলের ইতিহাসে এই প্রথম দল তুলে নেওয়ার মতো এহেন ঘটনা ঘটল। অতীতে আইএসএল ফাইনালের পর এফসি গোয়া এবং চেন্নাইয়ন এফসি ফুটবলারদের হাতাহাতি শেষ মেষ থানার দরজা অবদি গেছিল। কিন্তু দল তুলে নেওয়ার মতো ঘটনা এই প্রথম। গোলের পর থেকেই ভারত অধিনায়কের ওপর ক্ষোভে ফুঁসছে কেরলের ফুটবল সমর্থকরা। ক্ষোভ এতটাই বেশি যে তারা সুনীলের কুশপুতুল দাহ করেছেন একাধিক জায়গায়। সুনীল ছেত্রীর মতো আইকনের ছবিতেও আগুন লাগিয়েছেন তারা। দেশের বর্তমান ফুটবল আইকনের ওপর এই রোষের কারণ কি রেফারির কোনও সামান্য ভুল? রেফারি যদি মাঠে আরও শক্ত হতেন তাহলে কি এই ঘটনা এড়ানো যেত? রেফারির কিভাবে বোঝানো উচিত ছিল দুই দলের ফুটবলারদের। কি বলছে আইন? অন্তত আইন বলছে, বল যেখানে বসানো হবে। সেখানে ভ্যানিশিং স্প্রে মেরে দেওয়া হয়েছিল। ফলে বলে শট নেওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা ছিল না সুনীলের। যদি রেফারি বাঁশি দিতেন, তাহলে সুনীলকে অপেক্ষা করতে হত। যদিও রেফারিস ক্রিস্টাল জন, বাশি না দেওয়ায় সুনীল শট নেন, এবং তা গোল হিসেবে গন্য করেন রেফারি। মাঠ থেকে দল তুলে নেওয়ার কারণে বড় সড় শাস্তির মুখে পড়তে চলেছে কেরল ব্লাস্টার্স। স্রেফ আর্থিক জরিমানা নয়, নির্বাসনের মতো শাস্তিও হতে পারে কেরলের। যদিও শাস্তি নেওয়ার ক্ষেত্রে ভাবাচ্ছে কেরলের বিশাল ফুটবল সমর্থন। কারণ কেরল ব্লাস্টার্সের কোনও ম্যাচেই মাঠ ফাঁকা থাকে না। সব সময়ই তারা খেলাকে সমর্থন করে। ফলে আইএসএলের নীতি নির্ধারনকারিরাও কিছুটা দোটানায় ঠিক কি শাস্তি দেওয়া হবে কেরল ব্লাস্টার্স দলকে।