মোহনবাগানকে আইএসএল ফাইনালে তুলে সবুজ মেরুনের নায়ক এখন বিশাল কাইথ। টাইব্রেকারে হায়দরাবাদ এফসির সিভেরিওর শট বাচিয়ে মোহনবাগানকে জয় পেতে সাহায্য করেছেন বিশাল। একইসঙ্গে আইএসএল ফাইনালের টিকিটও তার হাতের তালুর সৌজন্যে পেয়েছে বাগান। পঞ্চাশ হাজারি যুবভারতীতে দর্শকদের প্রত্যাশা পুরণে একদমই ব্যর্থ হননি বিশাল। মোহনবাগান গোলের নিচে এবছর অনবদ্য পারফরমেন্সের পাশাপাশি আইএসএলের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কারও নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন বিশাল। গোল্ডেন গ্লাভস পুরস্কার তিনি যে এমনি এমনি পান নি, সেটা পারফরমেন্স দিয়েই প্রমাণ করে দিয়েছিলেন বাগান গোলের দুর্ভেদ্য প্রহরী। সামনে আর একটা ম্যাচ। সেই ম্যাচে তিনি ক্লিন শিট বজায় রাখতে পারলেই কলকাতায় আসবে আইএসএল ট্রফি। এটিকে অতীতে আইএসএল জিতলেও মোহনবাগানের কাছে এটাই প্রথমবার ট্রফি জয়ের সুযোগ। কারণ এটিকের সঙ্গে সংযুক্তিকরণের পর এর আগেও একবার আইএসএল ফাইনালে 2021 সালে উঠেছিল বাগান, কিন্তু সেবার রক্ষণের ভুলবোঝাবুঝিতে মুম্ই সিটি এফসির বিপক্ষে হারতে হয়েছিল সবুজ মেরুনকে। এবার তুলনায় দল অনেক বেশি মানসিকভাবে চাঙ্গা রয়েছে। পরপর ম্যাচ জিতে আসায়, একই সঙ্গে গতবারের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে দেওয়ায় দল মোমেন্টাম পেয়ে গেছে। ডিফেন্সে দামজানোভিচ আসার পর দলের রক্ষণ অনেক সংঘবদ্ধ দেখিয়েছে। বেঙ্গালুরুর বিপক্ষেও সেই একই পারফরমেন্স ধরে রাখার অপেক্ষায় বাগান কোচ। প্রতিপক্ষ বাগানের দুই প্রাক্তন জোড়া ফলা রয়েছে রয় কৃষ্ণা এবং প্রবীর দাস। তারাও পুরোনো ক্লাবের বিপক্ষে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকবেন। তবে চ্যালেঞ্জটা আরও বেশি মোহনবাগানের দুই তারকা স্ট্রাইকার হুগো বোমাস এবং দিমিত্রি পেত্রাতোসের। কারণ রয় কৃষ্ণাকে ছেড়ে দিলেও তাদের দলে নিয়ে যে ক্লাব কোনও ভুল করেনি সেটাও প্রমাণের সুযোগ রয়েছে হুগো, দিমিদের কাছে। বেঙ্গালুরুর সঙ্গে মোহনবাগানের লড়াইটা দীর্ঘদিনের। সেটা 2015 আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সময় হোক বা তার পরের বছরের ফেডারেশন কাপ। যখনই দুই দল নকআউটের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে, লড়াই কঠিন থেকে কঠিনতর হয়েছে। অনেকটা ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের লড়াইয়ের মতো। ফলে গোয়ার ফতোর্দা স্টেডিয়ামেও যে লড়াইটা সেয়ানে সেয়ানে হবে তা বলাই বাহুল্য। এখন দেখার বিশালের বিশ্বস্ত হাত, প্রীতমদের ইচ্ছাশক্তি আর জুয়ানের মস্তিস্কে আর। সাগরের তীর থেকে কলকাতায় ট্রফি আনতে পারে কিনা শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.
Recent News
- সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও নেই কোনও পুলিস কমপ্নেন সেন্টার! স্বরাষ্ট্র সচিবের রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
- বারো ক্লাস বা দ্বাদশ শ্রেনীর পরীক্ষা পাশ না করলে মুসলিম মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যাবে না, জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে।
- চাকরির জটিলতা কাটানোর জন্য দুর্গাকে বলি ভাসুরের
- প্রথম দফায় স্পর্শকাতর বুথ ৭৩৭ টি। সবচেয়ে বেশি জলপাইগুড়ি আসনে
- রুটের অনুমতি ছাড়াই রমরমিয়ে চলছে বাস কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ হাই কোর্টের।