Date : 2024-03-29

রূপচর্চায় ঘরোয়া উপাদান না

সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- ঘরোয়া উপায়ে প্রাকৃতিক উপাদানে নিজের চুল ও ত্বকের যত্ন নিতে পছন্দ করেন অনেকেই। তবে সব উপাদান সবার জন্য উপযুক্ত নয়। প্রাকৃতিক উপাদান মানেই যে তা সবার সহ্য হবে এমন নাও হতে পারে। বেশিরভাগ সময়ই না জেনে ত্বক ও চুলের যত্নের জন্য বিভিন্ন প্যাক তৈরি করে অনেকেই, যা ত্বক ও চুলের বেশ ক্ষতি করে। ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের যত্ন নেওয়ার আগে ত্বক ও উপাদানগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া দরকার।
১) লেবু: লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যার ফলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। তবে ত্বকে বেশি পরিমাণে লেবুর রস ব্যবহার করলে ত্বক জ্বালা-পোড়া, লাল, ফোসকা ও শুষ্ক হয়ে ওঠে। লেবু মেখে রোদে বেরোলে সমস্যা বাড়ে।


২) নারকেল তেল: ত্বক-চর্চার জন্য নারকেল তেলকে ভাল বলা হলেও দৈনন্দিন ব্যবহারে নারকেল তেল রাখা উচিত নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যাঁদের ত্বক শুষ্ক ও ডি- হাইড্রেটেড হয় তাঁরা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে অল্প পরিমাণে তেল ব্যবহার করতে পারেন তবে ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় বা ব্রণর সমস্যা থাকে তবে তেলের ব্যবহার না করাই ভাল।


৩) ভিনিগার: ভিনিগারে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া-নাশকারী ও প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য। আপেল সিডার ভিনিগার ত্বকের পিএইচের মাত্রার বদল ঘটায়। ত্বকের এক্সফোলিয়েশন বাড়িয়ে দেয়। যেকোনও ভিনিগার বেশি ব্যবহার করলে জ্বালা-পোড়া ও শুষ্কভাব দেখা দেয়।


৪) টুথপেস্ট: ব্রণ হলে অনেকেই টুথপেস্ট ব্যবহার করে। এটির ব্যবহারে ত্বকে জ্বালাভাব সৃষ্টি করে। শুধু তাই নয়, ব্রণর সমস্যা বাড়িয়ে তোলে টুথপেস্ট। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে ত্বকে কালো ছোপ হয়ে যায়।


৫) বেকিং সোডা: এটি ক্ষারীয় পদার্থ হওয়ার ফলে ত্বকের নানান ক্ষতি হতে পারে। ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ও আর্দ্রতা নষ্ট করে দেয় বেকিং সোডা। ত্বকে ফোস্কা, শুষ্ক, লালভাব ও প্রদাহ হতে পারে।