Date : 2024-04-19

নজিরবিহীন নির্দেশ নবান্নের। উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চার দফায় তথ্য পাঠানোর নির্দেশ

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে আর‌ও কড়া পদক্ষেপ সরকারের। চাকরি জীবনে একদিন ছেদ, একদিনের বেতন কাটার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর এবার উপস্থিতির হার সুনিশ্চিত করতে সারা দিনে চার দফায় তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হলো।

সকাল ১০:৪৫, বেলা ১২ টা, বেলা দেড়টা ও বিকাল ৫ টা। সারাদিনে প্রতিটা রাজ্য সরকারি অফিসে এই চার বার কর্মিদের উপস্থিতির হার জানিয়ে তথ্য পাঠাতে হবে নবান্নে।

এর জন্য একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই ফরম্যাটেই বিভাগীয় প্রধান লিখে পাঠাবেন তার দফতরে কোন ক্যাটাগরিতে (এ,বি,সি,ডি) মোট কতজন কর্মি, কতজন অনুপস্থিত, উপস্থিতির হার কত। পাশাপাশি যদি কোনো কর্মী অনুপস্থিত থাকেন তাহলে তিনি কোন পদে আছেন, তার অনুপস্থিতির কারণ কি, তাও লিখে জানাতে হবে।

এদিকে নতুন এই ফর্ম্যাটের খবর সামনে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মিদের একাংশের মধ্যে। তাদের বক্তব্য এটা শুধু অনৈতিক নয়, বেআইনি। তাদের এটাও বক্তব্য বিজ্ঞপ্তি জারি করার পরেও এই হুমকি ফরম্যাট পাঠানোর মানেই সরকার ভয় পেয়েছে। যদিও নবান্নের এক আমলার মতে এটা একদমই বেআইনি নয়। সরকার এটা করতেই পারে। চারবার উপস্থিতির হার জানার চেষ্টার পিছনে একটি নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

সেই কারণটি হলো একজন কর্মি নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে উপস্থিত হয়েছেন কিনা, উপস্থিতির স‌ই করে তিনি অফিস থেকে বেরিয়ে গেছেন কিনা, বা কোনো কর্মি দিনের প্রথম দফায় ধর্মঘটে অংশ নিয়ে দ্বিতীয় অর্ধে অফিসে এলেন, অথবা সকালে হাজিরা খাতায় স‌হি করে সারাদিনের জন্য অফিস ছেড়ে চলে গেলেন কি না। অর্থাৎ সারাদিনের জন্য কর্মিদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য‌ই এই ব্যবস্থা বলে মনে করছেন অনেকে। এদিকে এদিন মহাকরণে ধর্মঘটের মিশ্র প্রভাব পড়েছে। স্বরাষ্ট্র বা কৃষি দফতরে উপস্থিতির হার স্বাভাবিক থাকলেও আইন বিভাগের ঘরগুলো প্রায় ফাঁকাই ছিলো বেলা বারোটা পর্যন্ত। অন্যদিকে রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর নবান্নের ছবিটা ছিলো আলাদা। নবান্নে অবশ্য স্বাভাবিক দিনের থেকে উপস্থিতির হার ছিলো কিছুটা বেশিই। এদিকে এদিন নবান্নে প্রবেশের সময় সরকারি কর্মিদের পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখে তবেই প্রবেশের ছাড়পত্র পাওয়া যায়।