Date : 2024-03-29

ধর্মঘটে যোগ দিলে চাকরি জীবনে ছেদ পড়বে। হুঁশিয়ারি দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ সরকারের।

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : বকেয়া ডিএ-র (মহার্ঘ্য ভাতা) দাবিতে ১০ মার্চ রাজ্য সরকারি অফিসে ধর্মঘট ডেকেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। সেই ধর্মঘটকে বেআইনি ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করলো নবান্ন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ধর্মঘটের দিন অফিসে অনুপস্থিত থাকলে চাকরী জীবনে একদিন ছেদ পড়বে, সেই সঙ্গে একদিনের বেতন কাটা যাবে।

ডিএ নিয়ে আন্দোলনরত ধর্মঘটিদের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের পথেই রাজ্য। শুক্রবার অর্থাৎ ১০ মার্চ একদিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের ব্যানারে ডাকা এই ধর্মঘটকে বেআইনি ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করলো নবান্ন। রাজ্য অর্থ দপ্তরের পক্ষ থেকে জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী ঐদিন অর্থাৎ ১০ মার্চ কোন রাজ্য সরকারি কর্মচারী যদি তার নির্দিষ্ট অফিসে অনুপস্থিত থাকেন তাহলে যথোপযুক্ত কারণ দর্শাতে হবে। যুক্তিগ্রাহ্য কারণ দর্শাতে না পারলে তার চাকরি জীবনে একদিন ছেদ পড়বে এবং সেইসঙ্গে একদিনের বেতন কাটা যাবে বলে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে অর্থ দপ্তরের প্রধান সচিব মনোজ পন্থের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ৯ মার্চের আগে থেকে যদি কোন ছুটি নেওয়া হয়ে থাকে তাহলে অসুবিধা নেই। কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়া যাবে তাও নির্দিষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

লেখা হয়েছে যদি উক্ত কর্মচারী হাসপাতালে ভর্তি থাকেন বা পরিবারের কোন নিকটাত্মীয়ের মৃত্যু হলে বা গুরুতর অসুস্থ হয়ে যদি ৯ মার্চ এর আগে থেকেই ছুটিতে থাকেন বা উক্ত কর্মচারী যদি ৯ মার্চের আগে থেকে নেওয়া চাইল্ড কেয়ার লিভ, মেটারনিটি লিভ, মেডিকেল লিভ নিয়ে থাকেন। এইসব কারণ ব্যতীত অন্য কোন কারণই গ্রাহ্য হবে না। ওইদিন অর্থাৎ ১০ মার্চ কোন রাজ্য সরকারি কর্মচারী যদি তার অফিসে প্রথম অর্ধ বা দ্বিতীয় অর্ধ বা পুরো দিনের জন্য অনুপস্থিত থাকেন তাহলে তার বিভাগীয় প্রধান তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবেন। শোকজের উত্তর যুক্তিগ্রাহ্য না হলে উক্ত কর্মচারীর চাকরি জীবন থেকে একদিন ছেদ পড়বে এবং তার একদিনের বেতন কাটা যাবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। যারা শোকজের উত্তর দেবেন না তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অর্থ দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এটাও বলা হয়েছে যে এই বিষয়ে সমস্ত তদন্ত এবং কি ব্যবস্থা নেওয়া হল তার পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট ২৪ মার্চের মধ্যে শেষ করতে হবে এবং সেই রিপোর্ট অর্থ দপ্তরে জমা করতে হবে।