Date : 2024-04-19

গরমের হাসফাঁস অবস্থা রাজ্যবাসী। আইনজীবীদের গাউন পরার বাধ্যবাধকতা থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

গরমের হাসফাঁস অবস্থা রাজ্যবাসী। আইনজীবীদের গাউন পরার বাধ্যবাধকতা থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,সাংবাদিক : অত্যাধিক গরমের কারণে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশেই এই পদক্ষেপ।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘প্রচণ্ড গরমের কারণে আইনজীবীরা গাউন পরার হাত থেকে রেহাই চেয়ে যে আবেদন করেছিলেন, কার্যনির্বাহী প্রধান বিচারপতি তা মঞ্জুর করে এই নির্দেশ দিয়েছেন। আবহাওয়ার পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, গরমের ছুটি শেষে আগামী জুন মাসে আদালত খোলা পর্যন্ত আইনজীবীদের গাউন পরা থেকে ছাড় দেওয়া হবে।’

তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। কলকাতার তাপমাত্রা আজও চল্লিশ ডিগ্রির উপরে। তার সঙ্গে তাপপ্রবাহ তো রয়েছেই। আর এই গরমের দাবদাহে আরও সমস্যায় পড়েছেন আইনজীবীরা। কালো গাউন গায়ে চাপাতে হচ্ছে রোজ। তবে এবার হাইকোর্টের আইনজীবীদের জন্য স্বস্তির বার্তা দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।

রাজ্যজুড়ে তীব্র দাবদাহে নাজেহাল পরিস্থিতি রাজ্যবাসীর । গরমে হাঁসফাঁস করছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে অফিসযাত্রীরা। প্রায় সব জেলাতেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে । এই পরিস্থিতিতে আদালতে আইনজীবীরা বেশ কয়েকদিন ধরেই নিত্যদিনের কাজে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন । সেই সমস্যার কথা বার অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে তুলেও ধরেছিলেন আইনজীবীরা । প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদনও জানান যাতে প্রাথমিকভাবে শুনানির কাজ ভার্চুয়াল মাধ্যমে করা যায় । একইসঙ্গে কালো গাউন পরা থেকে ছাড় দেওয়ার কথাও জানানো হয় । সেই আবেদনে সাড়া দিল হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, দেশে করোনা পরিস্থিতির সময়ও সর্বোচ্চ আদালতে আইনজীবীদের গাউন পরার বাধ্যবাধকতা তুলে দিয়েছিল। তবে করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ার পর আদালত কক্ষে শুনানির সময় আইনজীবীদের গাউন পরার বাধ্যবাধকতা আবার চালু হয়।

তবে হাই কোর্টের রেজিষ্টার জেনারেলের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পরেও প্রায় ৭৫%আইনজীবীরাই কোর্ট গ্রাউন পড়েই তারা মামলায় অংশ গ্রহণ করছেন।

তবে কিছু কিছু আইনজীবীরা জানিয়েছেন তাদের যদি কোট পড়া থেকে রেহাই দিতেন তাহলে এই গরমে তাদের কাজ করতে সাময়িক কিছুটা স্বস্তি মিলতো।