Date : 2024-04-25

মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জট অব্যাহত রইলো।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : সময়ের তার নিজের নিয়ম এই চলে যাচ্ছে। সামনেই রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। কদিন আগেই মুর্শিদাবাদ সাগরদিঘী তে উপনির্বাচনের শেষে নবনির্বাচিত বিধায়ক শপথ বাক্য পাঠ করেছে রাজ্য বিধানসভায়।
মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী প্রয়াত সাধন পান্ডে। বছর ঘুরে গেলেও এখনো পর্যন্ত মানিকতলা বাসিন্দাদের কাছে স্পষ্ট নয় তার এলাকার বিধায়ক নির্বাচন ঠিক কবে হবে।জনস্বার্থ মামলার পরও মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন জট অব্যাহত। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের দীর্ঘদিনের বিধায়ক সাধন পান্ডের মৃত্যুর পর ওই কেন্দ্রে শূন্যতা তৈরি হয়। ১৯৫১ সালের জন প্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী কোন বিধায়কের ইস্তফা এবং মৃত্যুর কারণে কোন বিধানসভা কেন্দ্রে শূন্যতা তৈরি হলে সেই কেন্দ্রে শূন্যতা তৈরীর দিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে উপনির্বাচন সংগঠিত করিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা বাধ্যতামূলক।

কিন্তু সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পর বছর খানেক ঘুরে গেলেও তেমনটা হয়নি। কারণ গত বিধানসভা নির্বাচনে সাধন পান্ডে মানিকতলা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পরেই গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী কল্যান চৌবে। ২০২১ সালে দায়ের হওয়া সেই মামলার নিষ্পত্তি এখনো হয়নি। যে কারণে ওই কেন্দ্রের উপনির্বাচন এখনো বকেয়া রয়েছে।

কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে সোমবার ওই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ধারাকে উল্লেখ করে মামলাকারীর আইনজীবী কিশোর দত্ত নির্বাচনের দাবি জানান। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের পাল্টা জানান জনপ্রতিনিধিত্ব আইনেই বলা আছে যতক্ষণ না নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে ততক্ষণ উপ নির্বাচন সম্ভব নয়। সম্পর্কের বক্তব্য শোনার পর জনস্বার্থ মামলাটি খারিজ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন জানিয়ে দিয়েছে মূল মামলার নিষ্পত্তি না হলে ওই কেন্দ্রে নির্বাচন সম্ভব নয়। অতএব মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের বিষয়টি আপাতত ঝুলেই রইল।