ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : অমল কুমার চক্রবর্তী বরানগর পৌরসভায় কর্মরত অবস্থায় ২০১৩ সালে মারা যান। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কর্মরত অবস্থায় কেউ মারা গেলে তার পরিবারের সদস্যকে ২৯ দিনের মধ্যেই চাকরির জন্য আবেদন জানাতে হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে । সেইমতো অমল বাবুর ছেলে অমর্ত্য চক্রবর্তী বাবার চাকরি চেয়ে আবেদন জানান। বরাহনগর পৌরসভার দীর্ঘ টালবাহানা করার পরেও চাকরি মেলেনি। করণ-অতিমারীতে অতি কষ্টে দিন যাপন করতে হয়েছে এই পরিবারকে। আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়া পরিবার যাদের আলাদা কোন রোজগারের ব্যবস্থা নেই।
বরানগর পৌরসভার চেয়ারম্যান অপর্ণা মৌলিকের কাছে বারংবার আবেদন জানিয়েও কোন সূরা পাইনি এই পরিবার। বাবার চাকরি না মেলায় তথ্যের অধিকার আইনে পুরসভার কাছে জানতে করেন যে অমর্ত্য চক্রবর্তী বাবার চাকরি পাওয়ার জন্য অনুমোদন করে দিয়ে যে পৌরসভা।
বরানগর পৌরসভা জানায় ২০১৬ সালে ডি এল বি (ডাইরেক্টর অফ লোকাল বডি) কে পাঠানো হয়েছে কিন্তু তাতেও সূরা না হওয়ায় তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
পুরো ওর নগর উন্নয়ন দপ্তর এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপও গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ অমর্ত্য চক্রবর্তী।
এদের মামলার শুনানি পড়বে মামলাকারী অমর্ত্য চক্রবর্তী পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী বলেন কর্মরত অবস্থায় পৌরসভার কোন কর্মী যদি মারা যান সেখানে সরকারী নির্দেশ নামা অনুযায়ী তার স্পর্শকে চাকরি দিতে হবে শুধু তাই নয় চাকরি পাওয়ার যোগ্য হিসেবে তার নাম যখন পুরো নগর উন্নয়ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে তখন সংশ্লিষ্ট দপ্তরকেই অনুমোদন বা তাকে নিয়োগ না করে দীর্ঘদিন বঞ্চিত করে রাখতে পারেনা।
বিচারপতি অমৃতার সিনহা পৌরসভার আইনজীবীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন আপনাদের অফিসে কর্মরত একজন মারা গেল অথচ আপনাদের তরফে তাকে কোন ব্যবস্থা নেওয়ার হলো না? শুধুমাত্র নাম পাঠিয়েই দায় সারতে পারেন আপনারা?
বিচারপতি অমৃতা সিনহা রাজ্যের পুরো ও নগর উন্নয়ন দপ্তরকে নির্দেশ দেন ২০১৬ সালে মামলাকারীর যে নাম বরানগর পৌরসভা আপনাদের কে পাঠিয়েছিল তা সত্বেও কেন তাদের সিদ্ধান্ত মামলাকারীদের জানানো হলো না। আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যে পুরো ও নগর উন্নয়ন দপ্তর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।