চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের প্রথম লেগে এসি মিলানকে পরিস্কার 2-0 গোলে হারিয়ে দিল ইন্টার মিলান। ম্যাচের শুরু থেকেই দাপটে ফুটবল শুরু করে ইন্টার। খাতায় কলমে তুলনামুলক শক্তিশালি দল নিয়েই মাঠে নেমেছিল ইন্টার। নামের প্রতি সুবিচার করে লাউতারো মার্টিনেজ, এডিন জেকোরা দলকে জিতিয়েই আনলেন। ম্যাচের শুরুর দশ মিনিটের মধ্যেই কাঙ্খিত গোলের দেখা পেয়ে যায় ইন্টার মিলান। এডিন জেকো গোল করে ইন্টারকে এগিয়ে দেন। এরপর তিন মিনিটের মধ্যে ফের গোল। প্রথম গোলের রেশ কাটিয়ে ওঠার আগেই ফের পিছিয়ে পড়ে এসি মিলান। এবার এসি মিলানের জালে বল জড়িয়ে দেন হেনরিখ মিখতারিয়ান। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই নিয়ে তিনটি ম্যাচে হারল এসি মিলান। স্যান সিরোতে আগামি সপ্তাহে ফের খেলা রয়েছে দুই দলের। তবে ফিরতি লেগের ম্যাচের আগে নিঃসন্দেহ আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে থাকল ইন্টার মিলান। এই ম্যাচে মাত্র 2 গোল হজম করায় খাতায় কলমে এখনও সুযোগ থাকল এসি মিলানের। কারণ আরও বেশি গোলে হারলেও অবাক হওয়ার কিছুই ছিল না। 2007 সালের পর ফের একবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠতে গেলে দ্বিতীয় লেগে বাড়তি কসরত করতে হবে অলিভার জিরুড, থিও হার্নান্ডেজদের। ম্যাচের পরিসংখ্যান অবশ্য অন্য কথাই বলছে। বল পজিশনে এগিয়ে ছিল এসি মিলান। 58 শতাংশ বলের দখল ছিল তাদের পক্ষেই। মোট 13টি শটের মধ্যে 2টি গোল মুখি শট নেন জিরুডরা। পাস বকুরেসি এবং মোট পাসিং সবেতেই এগিয়ে ছিল বেনাকার, ব্রাহিম দিয়াজরা। ইন্টারের বিপক্ষে হারের জন্য অবশ্য আক্রমনভাগের দুর্বলতাই বেশি চোখে পড়ল এসি মিলানের। কারণ আক্রমনে বারবার একা হয়ে পড়লেন অলিভার জিরুড। যখন ডিভক অরিজি মাঠে নামলেন, ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে। এখন দেখার প্রথম লেগের ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা এসিমিলান।
Facebook
Instagram
Twitter

Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.